নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহজুড়ে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়লেও সূচকের নেতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে; একইসঙ্গে দৈনিক গড় লেনদেন শূন্য দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ কমেছে। এছাড়া গেল সপ্তাহের বাজার মূলধন কমেছে এক দশমিক ১১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে চার কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে আর গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়।
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বা দুই দশমিক ২৪ শতাংশ কমে সাত হাজার ৬২ দশমিক ৩৬ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ৩৮ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বা দুই দশমিক ৫৫ শতাংশ কমে এক হাজার ৪৭৯ দশমিক ৩৯ পয়েন্টে পৌঁছায়। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ৬০ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট বা দুই দশমিক ২৪ শতাংশ কমে দুই হাজার ৬৩৮ দশমিক ৯১ পয়েন্টে স্থির হয়। মোট ৩৮২টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২০৫টির, কমেছে ১৫৫টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৮ কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হয়নি চারটির। দৈনিক গড় লেনদেন হয় এক হাজার ৫১০ কোটি দুই লাখ ৬৫ হাজার টাকা। আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয় এক হাজার ৫১০ কোটি ৭৫ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে শূন্য দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ।
গেল সপ্তাহে ডিএসইতে মোট টার্নওভার বা লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় সাত হাজার ৫৫০ কোটি ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা। আগের সপ্তাহে যা ছিল ছয় হাজার ৪৩ কোটি তিন লাখ ৩৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে টার্নওভার বেড়েছে, যা শতাংশের হিসেবে ২৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
ডিএসইতে গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার বাজার মূলধন ছিল পাঁচ লাখ ৬৯ হাজার ৮৫১ কোটি ২৪ লাখ টাকা। শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ ছিল পাঁচ লাখ ৬৩ হাজার ৪৯৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে এক দশমিক ১১ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইর টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে বস্ত্র খাতের কোম্পানি হামিদ ফেব্রিকস লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৬৬ দশমিক ৩০ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে সাত কোটি ৫৭ লাখ ৮০ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৭ কোটি ৮৯ লাখ এক হাজার টাকা।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা এশিয়া ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৩১ দশমিক ৭২ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ছয় কোটি ৮২ লাখ ৮১ হাজার ৪০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৪ কোটি ১৪ লাখ সাত হাজার টাকা।
এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা যথাক্রমে মালেক স্পিনিং মিলস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ২৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ। সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ২২ দশমিক ৩৯ শতাংশ। পঞ্চম অবস্থানে থাকা কে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ১৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেডের ১৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, ফু ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ১৫ দশমিক শূন্য আট শতাংশ, এএফসি এগ্রো বায়োটেক লিমিটেডের ১৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ১৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রডাক্টস লিমিটেডের ১২ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।