নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহজুড়ে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির পাশাপাশি সব সূচকের উত্থান দেখা গেছে। একইসঙ্গে দৈনিক গড় লেনদেন ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে গত সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে, আর গত সপ্তাহে চার কার্যদিবস লেনদেন হয়।
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত সপ্তাহে মোট ৪১২টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩২৯টির, কমেছে ৪০টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৪ কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হয়নি ১৯টির। দৈনিক গড় লেনদেন হয় ৬১৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছিল ৫৬০ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
এদিকে গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে ওঠে এসেছে আফতাব অটোমোইলস লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ বা ৩ টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৭ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩৩ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৭ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ২৬ লাখ ৫৫ হাজার ১৯৪টি শেয়ার মোট ২ হাজার ৫৬৮ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ২৪ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৬৪ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ১৯৮৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০৫ কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৪৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ১০ কোটি ৫৫ লাখ ৪৪ হাজার ৯৯৫ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ২৯ দশমিক ৩২ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩২ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে বাকি ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ার।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫১ টাকা ৭৬ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৯ পয়সা।
অন্যদিকে গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় শীর্ষে ছিল যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ। সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বা ২ টাকা ৯০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৭৬ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ২২ হাজার ৫৫৬টি শেয়ার মোট ১৩৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ছিল ৩৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। দিনভর কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৭৩ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১৭৭ টাকার মধ্যে লেনদেন হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৬৬ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৯০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
যমুনা অয়েল ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১০ কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২ হাজার ১৮৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১১ কোটি ৪ লাখ ২৪ হাজার ৬০০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ২ দশমিক ৯০ শতাংশ, সরকারি ৬০ দশমিক ০৮, প্রাতিষ্ঠানিক ২৮ দশমিক ৮২, বিদেশি বিনিয়োগকারী শূন্য দশমিক ১৩ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৮ দশমিক ০৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।