Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 12:13 pm

ডিএসইতে গত সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন ১৯ শতাংশ কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহজুড়ে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমায় সূচকের পতন দেখা গেছে। একইসঙ্গে দৈনিক গড় লেনদেন ১৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে গত সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে, আর গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়।

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত সপ্তাহে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৭টির, কমেছে ২৭১টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৮ কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হয়নি ১৬টির। দৈনিক গড় লেনদেন হয় ৬৪৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছিল ৭৯৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ১৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

এদিকে গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৫২ দশমিক ০১ শতাংশ। সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ বা ৩৯ টাকা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৪৮৬ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর কোম্পানিটির ১৮ হাজার ২২৩টি শেয়ার মোট ১২৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৮৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ওই দিনভর শেয়ারদর ৪৮৬ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হলেও গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৫৪ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫৩৪ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ১৯৭৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২৫ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। রিজার্ভে ঘাটতির পরিমাণ ৩৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৬৬ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪৫ দশমিক ২৬ শতাংশ শেয়ার, সরকারি ৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এদিকে সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির তালিকায় এর পরের অবস্থানে থাকা খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩১ দশমিক ৬০ শতাংশ, জুট স্পিনার্স লিমিটেডের ২৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ, নর্দার্ন জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের ২৮ দশমিক ১১ শতাংশ, ওরিয়ন ইনফিউশনস লিমিটেডের ২১ দশমিক ৭৪ শতাংশ, লিবরা ইনফিউশনস লিমিটেডের ২১ দশমিক ২২ শতাংশ, বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ১৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ১৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ, বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক ফান্ডের ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ এবং বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি পিএলসির ১৫ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।

গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করে লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৭৪ শতাংশ বা ১০ টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ এক হাজার ৪৬৪ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৫৯২টি শেয়ার মোট ৭ হাজার ৪৩৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৫১ কোটি ৬৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। গত এক বছরের মধ্যে লিন্ডে বাংলাদেশের শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৮৮০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ৮০০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।

লেনদেনের তালিকায় এর পরের অবস্থানে থাকা অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের দৈনিক গড়ে ২১ কোটি ৭৫ লাখ টাকার লেনদেন হয় এবং মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ছিল ৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ। ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি পিএলসির দৈনিক গড়ে ২০ কোটি টাকার লেনদেন হয় এবং মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ছিল ৩ দশমিক ১১ শতাংশ।