ডিএসইতে গত সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন পাঁচ শতাংশ কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহজুড়ে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমলেও সূচকের উত্থান দেখা গেছে। তবে দৈনিক গড় লেনদেন ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে গত সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে, আর গত সপ্তাহে চার কার্যদিবস লেনদেন হয়।

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত সপ্তাহে মোট ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪২টির, কমেছে ২১৩টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪২ কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হয়নি ১৬টির। দৈনিক গড় লেনদেন হয় ৬১৩ কোটি ৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছিল ৬৪৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

এদিকে গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের কোম্পানি সি পার্ল বীচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ। সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ বা ২ টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৫৫ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনব্যাপী ২৭ লাখ ৬৩ হাজার ৩০৪টি শেয়ার ৫ হাজার ২৮৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৫২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫৬ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির তালিকায় এর পরের অবস্থানে থাকা প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ১৬ দশমিক ১৬ শতাংশ, সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের ১৪ দশমিক ২৫ শতাংশ, ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেডের ১৪ দশমিক ০৫ শতাংশ, সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ, এসকে ট্রিমস লিমিটেডের ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ, ইসলামী ব্যাংক বাংালাদেশ লিমিটেডের ১১ দশমিক ৫১ শতাংশ, গ্লোবাল হেভী কেমিক্যালস লিমিটেডের ১০ দশমিক ৬০ শতাংশ, ওইমেক্স ইলেকট্রোড লিমিটেডের ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৯ দশমিক ২৭ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।

গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করে পাট খাতের কোম্পানি সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ার গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। লেনদেনের তালিকায় এর পরের অবস্থানে থাকা লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেডের দৈনিক গড়ে ২৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকার লেনদেন হয় এবং মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ছিল চার শতাংশ। গ্রামীণফোন লিমিটেডের দৈনিক গড়ে ১৮ কোটি ১৭ লাখ টাকার লেনদেন হয় এবং মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ছিল ২ দশমিক ৯৬ শতাংশ। সি পার্ল বীচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেডের দৈনিক গড়ে ১৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকার লেনদেন হয় এবং মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ছিল ২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। ওরিয়ন ইনফিউশনস লিমিটেডের দৈনিক গড়ে ১৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকার লেনদেন হয় এবং মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ছিল ২ দশমিক ৪২ শতাংশ। ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসির দৈনিক গড়ে ১৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকার লেনদেন হয় এবং মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ছিল ২ দশমিক ৩৬ শতাংশ। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির দৈনিক গড়ে ১৪ কোটি ১৭ লাখ টাকার লেনদেন হয় এবং মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ছিল ২ দশমিক ৩১ শতাংশ।

ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের দৈনিক গড়ে ১২ কোটি ৭০ লাখ টাকার লেনদেন হয় এবং মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ছিল ২ দশমিক ০৭ শতাংশ। দি ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের দৈনিক গড়ে ১২ কোটি ৫৯ লাখ টাকার লেনদেন হয় এবং মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ছিল ২ দশমিক ০৫ শতাংশ। সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের দৈনিক গড়ে ১০ কোটি ৫৬ লাখ টাকার লেনদেন হয় এবং মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ছিল ১ দশমিক ৭২ শতাংশ।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০