ডিএসইতে গত সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন ৯.৮২ শতাংশ কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহজুড়ে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমার পাশাপাশি সূচকের নেতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে; একইসঙ্গে দৈনিক গড় লেনদেন ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে গেল সপ্তাহের বাজার মূলধন কমেছে দুই দশমিক ৬৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে আর গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়।

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৩৯ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বা তিন দশমিক ৩৮ শতাংশ কমে ছয় হাজার ৮৫২ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ৩৭ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট বা দুই দশমিক ৫৬ শতাংশ কমে এক হাজার ৪৪২ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে পৌঁছায়। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ৯২ দশমিক শূন্য আট পয়েন্ট বা তিন দশমিক ৪২ শতাংশ কমে দুই হাজার ৬০২ দশমিক ৮৭ পয়েন্টে স্থির হয়। মোট ৩৮৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৯টির, কমেছে ৩১৩টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৮ কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হয়নি চারটির। দৈনিক গড় লেনদেন হয় এক হাজার ২৬১ কোটি ২৫ লাখ এক হাজার টাকা। আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয় এক হাজার ৩৯৮ কোটি ৫২ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ।

গেল সপ্তাহে ডিএসইতে মোট টার্নওভার বা লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ছয় হাজার ৩০৬ কোটি ২৫ লাখ পাচ হাজার টাকা। আগের সপ্তাহে যা ছিল ছয় হাজার ৯৯২ কোটি ৬১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে টার্নওভার কমেছে, যা শতাংশের হিসেবে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ।

ডিএসইতে গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার বাজার মূলধন ছিল পাঁচ লাখ ৬১ হাজার ৭৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ ছিল পাঁচ লাখ ৪৬ হাজার ৯৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে দুই দশমিক ৬৭ শতাংশ।

গত সপ্তাহে ডিএসইর টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে একমি পেস্টিসাইডস লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৬০ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে দুই লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৫৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে চার লাখ ৬৯ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৩ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা যথাক্রমে ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ২৮ দশমিক ২৭ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ১০০ কোটি ১০ লাখ ৬৭ হাজার টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫০০ কোটি ৫৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। সুহƒদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৪ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। পঞ্চম অবস্থানে থাকা আমান ফিড লিমিটেডের ১৪ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ বেড়েছে। তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ১২ দশমিক ৭১ শতাংশ, দেশ গার্মেন্ট লিমিটেডের ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল লিমিটেডের ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ, প্যাসিফিক ডেনিমস লিমিটেডের আট দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেডের সাত দশমিক ৭৪ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।

গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বিবিধ খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির দুই কোটি ৯৩ লাখ ৯১ হাজার ২৬৬টি শেয়ার ৫১৩ কোটি ৬৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের আট দশমিক ১৪ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর দুই দশমিক ৬৯ শতাংশ কমেছে। আর লেনদেনের এ তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসে

ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড। লেনদেনের এ তালিকায় পরের অবস্থানে ছিল আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০