নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহজুড়ে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির পাশাপাশি সূচকের ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে; তবে দৈনিক গড় লেনদেন ২০ দশমিক শূন্য আট শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে গেল সপ্তাহের বাজার মূলধন বেড়েছে এক দশমিক ২৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে আর গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়।
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮৪ দশমিক ১১ পয়েন্ট বা এক দশমিক ২৩ শতাংশ বেড়ে ছয় হাজার ৯৩৬ দশমিক ২০ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ১৬ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট বা এক দশমিক ১৫ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৪৫৮ দশমিক ৯২ পয়েন্টে পৌঁছায়। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ৩৩ দশমিক শূন্য সাত পয়েন্ট বা এক দশমিক ২৭ শতাংশ বেড়ে দুই হাজার ৬৩৫ দশমিক ৯৪ পয়েন্টে স্থির হয়। মোট ৩৮৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৬টির, কমেছে ১৬৮টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩৬ কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হয়নি চারটির। দৈনিক গড় লেনদেন হয় এক হাজার সাত কোটি ৯৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয় এক হাজার ২৬১ কোটি ২৫ লাখ এক হাজার টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ২০ দশমিক শূন্য আট শতাংশ।
গেল সপ্তাহে ডিএসইতে মোট টার্নওভার বা লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় পাচ হাজার ৩৯ কোটি ৯৭ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। আগের সপ্তাহে যা ছিল ছয় হাজার ৩০৬ কোটি ২৫ লাখ পাঁচ হাজার টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে টার্নওভার কমেছে, যা শতাংশের হিসেবে ২০ দশমিক শূন্য আট শতাংশ।
ডিএসইতে গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার বাজার মূলধন ছিল পাঁচ লাখ ৪৬ হাজার ৯৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ ছিল পাঁচ লাখ ৫২ হাজার ৮৪০ কোটি ৬২ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে এক দশমিক ২৩ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইর টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৬০ দশমিক ১৫ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ছয় কোটি ২০ লাখ ৩৪ হাজার ৪০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩১ কোটি এক লাখ ৭২ হাজার টাকা।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা একমি পেস্টিসাইডস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৪৪ দশমিক ১৪ শতাংশ। এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা যথাক্রমে ওরিয়ন ইনফিউশনস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের বেড়েছে ১৫ দশমিক ১৪ শতাংশ। পঞ্চম অবস্থানে থাকা ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ১৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ বেড়েছে। জিবিবি পাওয়ার লিমিটেডের ১৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। জিএসপি ফাইন্যান্স কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের ১২ দশমিক ২২ শতাংশ, অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালস লিমিটেডের ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের ১০ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।
গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বিবিধ খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির তিন কোটি ৩৯ লাখ ৪৫ হাজার ৫৩টি শেয়ার ৫৫২ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৯৬ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর এক দশমিক ১৮ শতাংশ কমেছে। আর লেনদেনের এ তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসে ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির ২১ কোটি ৬২ লাখ ৪৬ হাজার ২১১টি শেয়ার ৪২৮ কোটি ২৯ লাখ ২৯ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের আট দশমিক ৫০ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর এক দশমিক ৫৯ শতাংশ বেড়েছে। লেনদেনের এ তালিকায় পরের অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড এবং ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেড।