নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহজুড়ে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমার পাশাপাশি সূচকের নেতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে; একইসঙ্গে দৈনিক গড় লেনদেন ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে গেল সপ্তাহের বাজার মূলধন কমেছে এক দশমিক ০৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে আর গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়।
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯৪ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ কমে ৬ হাজার ৯৯১ দশমিক ৩৬ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ৯ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৬২ শতাংশ কমে এক হাজার ৫০৮ দশমিক ১৪ পয়েন্টে পৌঁছায়। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ২৩ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৯১ শতাংশ কমে দুই হাজার ৫৭৩ দশমিক ৮৫ পয়েন্টে স্থির হয়। মোট ৩৯২টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৭টির, কমেছে ২৮০টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৯ কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হয়নি ছয়টির। দৈনিক গড় লেনদেন হয় এক হাজার ১৯৩ কোটি ৪২ লাখ ৫৯ হাজার ৫৬৯ টাকা। আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয় এক হাজার ৩২৩ কোটি ৫৫ লাখ ৮৪ হাজার ১৩৭ টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
গেল সপ্তাহে ডিএসইতে মোট টার্নওভার বা লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫ হাজার ৯৬৭ কোটি ১২ লাখ ৯৭ হাজার ৮৪৫ টাকা। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৬ হাজার ৬১৭ কোটি ৭৯ লাখ ২০ হাজার ৬৮৬ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে টার্নওভার কমেছে; যা শতাংশের হিসাবে ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
ডিএসইতে গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার বাজার মূলধন ছিল পাঁচ লাখ ৬৬ হাজার ৭৫২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ ছিল পাঁচ লাখ ৬০ হাজার ৯২৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে এক দশমিক ০৩ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইর টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি এপেক্স ফুডস লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৩০ দশমিক ৫৪ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ১৪ লাখ ৫১ হাজার টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩০ কোটি ৭২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্টাইলক্রাফট লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৭ দশমিক ০২ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৫০ লাখ ৫০ হাজার ৬০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১২ কোটি ৫২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।
এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা যথাক্রমে তমিজউদ্দীন টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৬৯ লাখ ২৯ হাজার ৬০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৮ কোটি ৪৬ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। বাংলাদেশ ল্যাম্পস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৬ লাখ ৫৫ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬০ কোটি ৩২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। পঞ্চম অবস্থানে থাকা শমরিতা হসপিটাল লিমিটেডের ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়েছে। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৯৩ লাখ ৮৫ হাজার ৮০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৯ কোটি ৬৯ লাখ ২৯ হাজার টাকা। আরামিট সিমেন্ট লিমিটেডের ১৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে, এপেক্স ট্যানারি লিমিটেডের ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ, রহিম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের ১২ দশমিক ৬৭ শতাংশ, এমবি ফার্মা লিমিটেডের ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং বিডি অটোকারস লিমিটেডের ১১ দশমিক ৫৫ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।