নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহজুড়ে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়ার পাশাপাশি সূচকের ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে; একইসঙ্গে দৈনিক গড় লেনদেন ২০ দশমিক ০৫ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে গেল সপ্তাহের বাজার মূলধন বেড়েছে শূন্য দশমিক ২১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে আর গত সপ্তাহেও পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়।
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ৭৫৭ দশমিক ৮৪ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ১১ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৪৬৮ দশমিক ১১ পয়েন্টে পৌঁছায়। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ৭ দশমিক ২৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ২৯ শতাংশ বেড়ে দুই হাজার ৪৭৪ দশমিক শূন্য এক পয়েন্টে স্থির হয়। মোট ৩৯৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৯টির, কমেছে ১৭০টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩৫ কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হয়নি ৯টির। দৈনিক গড় লেনদেন হয় ৯৩৬ কোটি ৬৬ লাখ ৯৭ হাজার ২০ টাকা। আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয় ৭৮০ কোটি ২৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬১১ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে ২০ দশমিক ০৫ শতাংশ।
গেল সপ্তাহে ডিএসইতে মোট টার্নওভার বা লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ হাজার ৬৮৩ কোটি ৩৪ লাখ ৮৫ হাজার ১০২ টাকা। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৩ হাজার ৯০১ কোটি ১৯ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে টার্নওভার বেড়েছে; যা শতাংশের হিসাবে ২০ দশমিক ০৫ শতাংশ।
ডিএসইতে গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার বাজার মূলধন ছিল পাঁচ লাখ ৩৮ হাজার ২৬৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ ছিল পাঁচ লাখ ৩৯ হাজার ৪১৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে শূন্য দশমিক ২১ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইর টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৩৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৬ কোটি ৬৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৮০ লাখ ২৪ হাজার টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৯ কোটি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা যথাক্রমে জনতা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৯৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ কোটি ৬৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা। কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। পঞ্চম অবস্থানে থাকা ফরচুন শুজ লিমিটেডের ১২ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়েছে। এরপরের অবস্থানে থাকা অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ১২ দশমিক ৬৮ শতাংশ, তাওফিকা ফুডস অ্যান্ড লাভেলো আইসক্রিম পিএলসির ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ, ফিনিক্স ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের ১২ দশমিক ০৪ শতাংশ, বাংলাদেশ ল্যাম্পস লিমিটেডের ১১ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের ১০ দশমিক ৬৯ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।
