নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহজুড়ে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমার পাশাপাশি সূচকের নেতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে; একইসঙ্গে দৈনিক গড় লেনদেন ৩৫ দশমিক ১০ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে গত সপ্তাহের বাজার মূলধন কমেছে এক দশমিক ২৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে, আর গত সপ্তাহেও পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়।
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১৬ দশমিক ৬০ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৭৩ শতাংশ কমে ৬ হাজার ৬৪১ দশমিক ২৩ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ১৪ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৯৯ শতাংশ কমে এক হাজার ৪৫৩ দশমিক ৬০ পয়েন্টে পৌঁছায়। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ২২ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৯১ শতাংশ কমে দুই হাজার ৪৫১ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে স্থির হয়। মোট ৩৯৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫১টির, কমেছে ৩২৪টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১০ কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হয়নি আটটির। দৈনিক গড় লেনদেন হয় ৬০৭ কোটি ৮৫ লাখ ৪৯ হাজার ৯১৪টাকা। আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয় ৯৩৬ কোটি ৬৬ লাখ ৯৭ হাজার ২০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ৩৫ দশমিক ১০ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট টার্নওভার বা লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ হাজার ৩৯ কোটি ২৭ লাখ ৪৯ হাজার ৫৭১ টাকা, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৪ হাজার ৬৮৩ কোটি ৩৪ লাখ ৮৫ হাজার ১০২ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে টার্নওভার কমেছে, যা শতাংশের হিসেবে ৩৫ দশমিক ১০ শতাংশ।
ডিএসইতে গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার বাজার মূলধন ছিল পাঁচ লাখ ৩৯ হাজার ৪১৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ ছিল পাঁচ লাখ ৩২ হাজার ৫৩৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে এক দশমিক ২৭ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইর টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে বিবিধ খাতের কোম্পানি জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৬০ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ২৯ হাজার ৪০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় এক লাখ ৪৭ হাজার টাকা। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ানের শেয়ারদর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ। এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা যথাক্রমে মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। পঞ্চম অবস্থানে থাকা রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেডের ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়েছে। এর পরের অবস্থানে থাকা নাহি অ্যালুমিনিয়াম অ্যান্ড কম্পোজিট প্যানেল লিমিটেডের ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের ৫ দশমিক ২০ শতাংশ, কাট্টলী টেক্সটাইলের ৫ দশমিক ১৬ শতাংশ, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট লিমিটেডের ৪ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং বিবিএস কেব্লস লিমিটেডের ৪ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।
গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বিবিধ খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো)। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ১ কোটি ৩১ লাখ ৬৬ হাজার ২৭৯টি শেয়ার ১৯৭ কোটি ৪৩ লাখ ৭০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ২ দশমিক ৮১ শতাংশ কমেছে। আর লেনদেনের এ তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসে আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৩ কোটি ৫০ লাখ ৬৮ হাজার ৯৯টি শেয়ার ১৫৬ কোটি ৫৬ লাখ ৪৯ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ১৫ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেড়েছে।
