নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহজুড়ে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমায় সূচকের পতন দেখা গেছে; একইসঙ্গে দৈনিক গড় লেনদেন ১৫ দশমিক ২৯ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে গত সপ্তাহের বাজার মূলধন কমেছে ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে তিন কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে আর গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়।
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৯৭ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ কমে ৬ হাজার ১২৬ দশমিক ৫২ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ৩২ দশমিক ২৭ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৩৪ শতাংশ কমে এক হাজার ৩৪৫ দশমিক ০৯ পয়েন্টে পৌঁছায়। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ৭৩ দশমিক ০২ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ২১ শতাংশ কমে দুই হাজার ২০০ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে স্থির হয়। মোট ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৫টির, কমেছে ৩৩১টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১১ কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হয়নি ৮টির। দৈনিক গড় লেনদেন হয় ৫৫৪ কোটি ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৮৪৬ টাকা। আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয় ৬৫৪ কোটি ১৪ লাখ ৮০ হাজার ৩৮১ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ১৫ দশমিক ২৯ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট টার্নওভার বা লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ হাজার ৭৭০ কোটি ৬৬ লাখ ২৪ হাজার ২৩১ টাকা, আগের সপ্তাহে যা ছিল ১ হাজার ৯৬২ কোটি ৪৪ লাখ ৪১ হাজার ১৪৪ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে টার্নওভার বেড়েছে, যা শতাংশের হিসেবে ৪১ দশমিক ১৮ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইর টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে এইচআর টেক্সটাইল লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২১ দশমিক ৪০ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৪২ লাখ ২৮ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩২ কোটি ১১ লাখ ৪১ হাজার টাকা।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা কেডিএস অ্যাকসেসরিজ লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা যথাক্রমে ওরিয়ন ইনফিউশনস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১১ দশমিক ৯১ শতাংশ। প্রাইম টেক্সটাইল স্পিনিং মিলস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আরামিট সিমেন্ট লিমিটেডের ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ, সান লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ, এমএল ডায়িং লিমিটেডের ৫ দশমিক ২০ শতাংশ এবং এআইবিএল মুদারাবা পারপিচুয়াল বন্ডের ৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।
গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো)। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ১ কোটি ১৯ লাখ ২৩ হাজার ২৩০টি শেয়ার ১৪৫ কোটি ৫৮ লাখ ৯৭ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৮ দশমিক ৯১ শতাংশ কমেছে। সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ বা ২ টাকা ৩০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১১৬ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১১৬ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১২১ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৮৮ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১৮৭ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করে।