নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহজুড়ে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়লেও সূচকের মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে; একইসঙ্গে দৈনিক গড় লেনদেন শূন্য দশমিক ৯২ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে গত সপ্তাহের বাজার মূলধন বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে আর গত সপ্তাহেও পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়।
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৯ দশমিক ২৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ৩৭৬ দশমিক ৯৪ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ৩ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট বা দশমিক ২৮ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৩৮৬ দশমিক ৭৮ পয়েন্টে পৌঁছায়। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ৩ দশমিক ০১ পয়েন্ট বা দশমিক ১৩ শতাংশ কমে দুই হাজার ২৯৫ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে স্থির হয়। মোট ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৬৫টির, কমেছে ৯৪টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩১ কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হয়নি ৫টির। দৈনিক গড় লেনদেন হয় ৭৭১ কোটি ৪৮ লাখ ২৯ হাজার ৫৭ টাকা। আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয় ৭৬৪ কোটি ৪৩ লাখ ৫৬ হাজার ৬৮৫ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে দশমিক ৯২ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট টার্নওভার বা লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় তিন হাজার ৮৫৭ কোটি ৪১ লাখ ৪৫ হাজার ২৮৩ টাকা, আগের সপ্তাহে যা ছিল তিন হাজার ৮২২ কোটি ১৭ লাখ ৮৩ হাজার ৪২৩ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে টার্নওভার বেড়েছে, যা শতাংশের হিসেবে দশমিক ৯২ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইর টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে ফিনিক্স ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। আলোচিত সময়ে ফান্ডটির ইউনিটদর বেড়েছে ১৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা যথাক্রমে ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের ১৪ দশমিক ২৫ শতাংশ, মতিন স্পিনিং মিলের ১০ দশমিক ৮৫ শতাংশ, এনভয় টেক্সটাইলের ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ, সাফকো স্পিনিংয়ের ৮ দশমিক ২০ শতাংশ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ, স্কয়ার টেক্সটাইলের ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ, হা ওয়েল টেক্সটাইলের ৭ দশমিক ২৬ শতাংশ, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং কাট্টলী টেক্সটাইলের ছয় দশমিক ০৬ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।
গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো)। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ১ কোটি ৬৭ লাখ ১১ হাজার ৫৭৮টি শেয়ার ১৯৪ কোটি ১১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৬.১২ শতাংশ। আর লেনদেনের এ তালিকার পরের অবস্থানে উঠে আসা আইপিডিসি ফাইন্যান্সের ১ কোটি ৭৮ লাখ ১ হাজার ২২২টি শেয়ার ১১২ কোটি ৮ লাখ ৪৬ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৫.৭১ শতাংশ। মতিন স্পিনিংয়ের ১ কোটি ২২ লাখ ৮০ হাজার ৪৮টি শেয়ার ৯৫ কোটি ১৫ লাখ ২৮ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৩ শতাংশ। কেডিএস অ্যাকসেসরিজের ১ কোটি ২২ লাখ ২২ হাজার ৩৮৬টি শেয়ার ৯৪ কোটি ৫৭ লাখ ২২ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ২.৯৮ শতাংশ। ফরচুন শুজের ৮১ লাখ ৬৪ হাজার ৯৫০টি শেয়ার ৬৫ কোটি ৪০ লাখ ৫ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ২.০৬ শতাংশ। আইপিডিসি ফাইন্যান্সের ১ কোটি ৩ লাখ ৮২ হাজার ৪৬০টি শেয়ার ৬০ কোটি ৫৪ লাখ ২৫ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ১.৯১ শতাংশ। সোনালী পেপারের ৯ লাখ ৪৭ হাজার ২৪৮টি শেয়ার ৫৮ কোটি ৬৮ লাখ ৮৮ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ১.৮৫ শতাংশ। ওরিয়ন ইনফিউশনসের ৪৮ লাখ ৯৮ হাজার ৪৮৭টি শেয়ার ৫৩ কোটি ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ১.৬৮ শতাংশ।
