নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে সাত দশমিক শূন্য সাত শতাংশ। আর বাজার মূলধন বেড়েছে দুই দশমিক ৮৪ শতাংশ। সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১৯ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বা দুই দশমিক ৪১ শতাংশ বেড়ে পাঁচ হাজার ৯৪ দশমিক ৬৬ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ৩৩ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বা দুই দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ১৬৯ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএস৩০ সূচক ৪৮ দশমিক শূন্য তিন পয়েন্ট বা দুই দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৭৭৫ দশমিক ১৬ পয়েন্টে স্থির হয়। মোট ৩৬৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৯৫টির, কমেছে ১০৭টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৬০ কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হয়নি তিনটির। দৈনিক গড় লেনদেন হয় ৮৩৪ কোটি ৬৮ লাখ ২৪ হাজার ৭৬৭ টাকা। আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয় ৭৭৯ কোটি ৫৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৭৯ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে ৫৫ কোটি আট লাখ ৪৪ হাজার ৩৮৮ টাকা বা সাত দশমিক শূন্য সাত শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইর টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৫৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৩৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় এক কোটি ৬৮ লাখ ২৮ হাজার টাকা।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ার লিমিটেড। ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৭ দশমিক ৬২ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন চার কোটি ১৬ লাখ আট হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৮০ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার।
তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফরচুন শুজ লিমিটেড। ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ১৯ কোটি ৩৪ লাখ ৩০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৯৬ কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার।
এর পরের অবস্থানে থাকা ‘এ’ ক্যাটেগরির রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ২২ দশমিক ৭১ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ২০ কোটি ৭৩ লাখ ১৭ হাজার ৮০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১০৩ কোটি ৬৫ লাখ ৮৯ হাজার টাকার শেয়ার। আর পঞ্চম অবস্থানে থাকা ‘বি’ ক্যাটেগরির ফাইন ফুডস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ২০ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন দুই কোটি ৮৪ লাখ ৩৭ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ২১ লাখ ৮৬ হাজার টাকার শেয়ার।
ডিএসইতে টার্নওভারের দিক থেকে শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির আট কোটি ৫০ লাখ ৫০ হাজার ৮৩৫টি শেয়ার ২৪৪ কোটি চার লাখ ৪৩ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের পাঁচ দশমিক ৮৫ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১৩ দশমিক ২১ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক শূন্য এক শতাংশ বা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৩০ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ৩০ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৯ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ১১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৩০ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে।
তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির এক কোটি ৩৪ লাখ ৭৬ হাজার ২৮১টি শেয়ার ১৯২ কোটি ৩৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের চার দশমিক ৬১ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর দুই দশমিক ১০ শতাংশ বেড়েছে।
তৃতীয় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির দুই কোটি ৩৭ লাখ ১৯ হাজার ৪১৭টি শেয়ার ১৩৭ কোটি ৫৫ লাখ ৪০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের তিন দশমিক ৩০ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়েছে।
সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর তিন দশমিক ৭২ শতাংশ বা দুই টাকা ২০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৬১ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৬১ টাকা ৩০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৫৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬২ টাকা ১০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ১৫ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৬২ টাকা ১০ পয়সায় ওঠানামা করে।
তালিকার চতুর্থ অবস্থানে ছিল আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ১০ কোটি আট লাখ ৮১৩টি শেয়ার ১১৭ কোটি ৭৪ লাখ ১২ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক ৮২ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ছয় দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়েছে।