সপ্তাহের ব্যবধান

ডিএসইতে প্রধান সূচকের পতন ২৬২ পয়েন্ট দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ৩.১৬%

নিজস্ব প্রতিবেদক  : পুঁজিবাজারে গত সপ্তাহজুড়ে সূচকের টানা পতন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইএক্স সূচকের পতন হয় ২৬১ দশমিক ৯০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকও বড় পতনে ছিল। দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে তিন দশমিক ১৬ শতাংশ। তবে মোট লেনদেন বেড়েছে ২১ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ। এর কারণ গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল চার কার্যদিবস। সে সঙ্গে বাজার মূলধন কমেছে পাঁচ দশমিক শূন্য চার শতাংশ। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক ও বেশিরভাগ শেয়ারদর কমলেও লেনদেন বেড়েছে।

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৬১ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা পাঁচ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়ে চার হাজার ১৯৭ দশমিক ৩৯ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ৬৩ দশমিক ৫০ পয়েন্ট বা ছয় দশমিক ২৯ শতাংশ কমে ৯৪৫ দশমিক ৯২ পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএস৩০ সূচক ৯৯ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বা ছয় দশমিক ৬২ শতাংশ কমে এক হাজার ৪০৬ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে স্থির হয়। মোট ৩৫৯টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৪টির, কমেছে ৩১০টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৩ কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হয়নি দুটির। দৈনিক গড় লেনদেন হয় ৩১৫ কোটি ৪২ লাখ ৫৯ হাজার ২১৭ টাকা। আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয় ৩২৫ কোটি ৭২ লাখ ৩৫ হাজার ১৮৩ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ১০ কোটি ২৯ লাখ টাকা বা তিন দশমিক ১৬ শতাংশ।

গেলো সপ্তাহে ডিএসইতে মোট টার্নওভার বা লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় এক হাজার ৫৭৭ কোটি ১২ লাখ ৯৬ হাজার ৮৪ টাকা। আগের সপ্তাহে যা ছিল এক হাজার ৩০২ কোটি ৮৯ লাখ ৪০ হাজার ৭৩১ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে টার্নওভার বেড়েছে ২৭৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা বা ২১ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ।

ডিএসইতে গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার বাজার মূলধন ছিল তিন লাখ ৪০ হাজার ৮১১ কোটি চার লাখ ৩৪ হাজার টাকা। শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ ছিল তিন লাখ ২৩ হাজার ৬৫০ কোটি দুই লাখ ৮১ হাজার টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে পাঁচ দশমিক শূন্য চার শতাংশ বা ১৭ হাজার ১৬১ কোটি টাকা।

গত সপ্তাহে ডিএসইর টপ টেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে ‘বি’ ক্যাটেগরির ন্যাশনাল ফিড মিল। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ বেড়েছে। তালিকায় এর পরের অবস্থানগুলোতে থাকা লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের দর ১০ দশমিক ৩৫ শতাংশ, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির দর ছয় দশমিক ৬৪ শতাংশ, মোজাফফর হোসেন স্পিনিংয়ের দর পাঁচ দশমিক ৭১ শতাংশ বেড়েছে। স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের দর চার দশমিক ৫৫ শতাংশ, ইয়াকিন পলিমারের দর তিন দশমিক ৫১ শতাংশ, খুলনা পাওয়ার কোম্পানির দর তিন দশমিক ৪৭ শতাংশ, কে অ্যান্ড কিউ’র দর তিন দশমিক ৩৭ শতাংশ, ইবিএল এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ডের দর দুই দশমিক ৩৮ শতাংশ, আইএফআইসি ব্যাংকের দর বেড়েছে দুই দশমিক ১৭ শতাংশ।

অন্যদিকে ১৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ কমে সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে অবস্থান করে সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ। নর্দান জুটের দর ১৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর ১৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ, এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ডের দর ১৬ দশমিক ১৯ শতাংশ, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের দর ১৫ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ, সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ডের দর ১৫ শতাংশ, সোনারগাঁও টেক্সটাইলের দর ১৪ দশমিক ৭০ শতাংশ, ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের দর ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ, রিং শাইন টেক্সটাইলের দর ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ, গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রোর দর ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ কমেছে।

ডিএসইতে টার্নওভারের দিক থেকে শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলোÑ লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, এডিএন টেলিকম, ব্র্যাক ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, বীকন ফার্মা, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, সিটি ব্যাংক ও ন্যাশনাল টিউবস।

অন্যদিকে দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২৯২টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৭টির, কমেছে ২৪৭টির এবং অপরিবর্তিত ছিল আটটির দর।

সিএসইতে গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স বেড়েছে পাঁচ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এছাড়া সিএএসপিআই সূচক পাঁচ দশমিক ৭২ শতাংশ, সিএসই৫০ সূচক কমেছে ছয় দশমিক ১৮ শতাংশ, সিএসআই সূচক ছয় দশমিক ১৯ শতাংশ। সিএসই৩০ সূচক কমেছে পাঁচ দশমিক ৭২ শতাংশ।

সিএসইতে গেল সপ্তাহে টার্নওভারের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬৫ কোটি ১২ লাখ ৩৮ হাজার ১৩৫ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৬১ কোটি ২৭ লাখ ২৩ হাজার ৪৭৮ টাকা।

৭৪ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ বেড়ে সিএসইতে সাপ্তাহিক টপ টেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে এডএন টেলিকম। এমারাল্ড অয়েলের দর ১৭ দশমিক ২৬ শতাংশ, মিথুন নিটিংয়ের দর ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ, লাফার্জহোলসিমের দর ৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে। এরপরের অবস্থানগুলোতে থাকা ফারইস্ট ফাইন্যান্সের দর ৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ, ন্যাশনাল ফিড মিলের দর ৯ দশমিক ২৭ শতাংশ, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির দর আট দশমিক ৫১ শতাংশ, এপেক্স ফুডসের দর ছয় দশমিক ২৩ শতাংশ, ফিনিক্স ফাইন্যান্সের দর পাঁচ দশমিক ৯১ শতাংশ, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের দর পাঁচ দশমিক ২৭ শতাংশ বেড়েছে।

অন্যদিকে ১৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমে টপ টেন লুজার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স। আজিজ পাইপসের দর ১৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ কমেছে। এর পরের অবস্থানগুলোতে ছিল সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড, বিডি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স, রিং শাইন টেক্সটাইল, দি সিটি ব্যাংক। সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলোÑএডিএন টেলিকম, লাফার্জহোলসিম, ব্র্যাক ব্যাংক, শাইন টেক্সটাইল, জেনেক্স ইনফোসিস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, বেক্সিমকো লিমিটেড, বীকন ফার্মা ও খুলনা পাওয়ার কোম্পানি।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০