নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের প্রথম দিন গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেশিরভাগ শেয়ারের দরবৃদ্ধি পেলেও লেনদেন কমেছে। অন্যদিকে সূচকে ছিল মিশ্র প্রবণতা। প্রধান সূচক ও ডিএস৩০ সূচক ইতিবাচক হলেও কমেছে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক। ডিএসইতে ৫২ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে, কমেছে ৩৩ শতাংশের দর। গতকাল লেনদেনের শুরুতে কেনার চাপে সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়। বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে বিক্রির চাপ বাড়লে সূচকের পতন হয়। বেলা দেড়টার পর থেকে কেনার চাপ বাড়লে শেষ মুহূর্তে সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়। লেনদেন শেষে প্রধান সূচক আট পয়েন্ট ইতিবাচক ছিল। ডিএস৩০ সূচকও ইতিবাচক ছিল। কমেছে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক। অন্যদিকে চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশিরভাগ শেয়ারের দর বাড়লেও সূচক নেতিবাচক অবস্থানে ছিল, তবে লেনদেন বেড়েছে।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আট দশমিক ৩৩ পয়েন্ট বা দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়ে চার হাজার ৯৪২ দশমিক ২৩ পয়েন্টে অবস্থান করে।
ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক দুই দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বা দশমিক ২১ শতাংশ কমে এক হাজার ১৫৪ দশমিক ২৪ পয়েন্টে অবস্থান করে। আর ডিএস৩০ সূচক এক দশমিক ৮৬ পয়েন্ট বা দশমিক ১০ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৭৩৮ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে অবস্থান করে। গতকাল ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়ে তিন লাখ ৬৯ হাজার ৫৯৩ কোটি পাঁচ লাখ ৭১ হাজার ৬৬৯ টাকা হয়। ডিএসইতে লেনদেন হয় ৩১৭ কোটি আট লাখ ৪২ হাজার ২৩৮ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪০৫ কোটি ১০ লাখ পাঁচ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসেবে লেনদেন কমেছে ৮৮ কোটি ০১ লাখ টাকা। এদিন সাত কোটি ৬৯ লাখ ৩০ হাজার ৪৭৫টি শেয়ার এক লাখ তিন হাজার ৪৮৩ বার হাতবদল হয়। লেনদেন হওয়া ৩৫২ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৮৪টির, কমেছে ১১৮টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৫০টির দর।
গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে ন্যাশনাল টিউবস। কোম্পানিটির ৩২ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দর বেড়েছে চার টাকা। এরপরে জেএমআই সিরিঞ্জের ১৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা লেনদেনের পাশাপাশি দর কমেছে ৩২ টাকা ৩০ পয়সা। তৃতীয় অবস্থানে থাকা বীকন ফার্মার আট কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দর কমেছে ৮০ পয়সা। ওয়াটা কেমিক্যালের আট কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের সাত কোটি ২৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়। এছাড়া ইউনাইটেড পাওয়ারের সাত কোটি ১২ লাখ টাকা, ইস্টার্ন কেব্লসের ছয় কোটি ১৬ লাখ টাকা, স্টাইল ক্রাফটের ছয় কোটি ১০ লাখ টাকা, বঙ্গজের ছয় কোটি টাকা ও ভিএফএস থ্রেডের প্রায় ছয় কোটি টাকা লেনদেন হয়।
সিএসইতে গতকাল সিএসসিএক্স মূল্যসূচক তিন দশমিক ৯৬ পয়েন্ট বা দশমিক ০৪ শতাংশ কমে ৯ হাজার ৯১ দশমিক ৬৩ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই আট দশমিক ৪৬ পয়েন্ট বা দশমিক ০৫ শতাংশ কমে ১৪ হাজার ৯৭৩ পয়েন্টে অবস্থান করে। গতকাল সর্বমোট ২৫৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২২টির, কমেছে ৯৪টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩৯টির দর।
সিএসইতে এদিন ৩২ কোটি ২১ লাখ ৪৯ হাজার ৯১৫ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১২ কোটি ৪০ লাখ ৯৬ হাজার ৩০০ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। সিএসইতে গতকাল লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করে বিএটিবিসি। কোম্পানিটির ১১ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের দুই কোটি ৫২ লাখ টাকা, ডরিন পাওয়ারের দুই কোটি ৩৯ লাখ টাকা, বেক্সিমকো ফার্মার দুই কোটি ২৯ লাখ টাকা, ম্যারিকোর দুই কোটি ১৩ লাখ টাকা, বার্জার পিবিএলের এক কোটি ৫৬ লাখ টাকা ও রেকিট বেনকিজারের এক কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
ডিএসইতে বেশিরভাগ শেয়ারের দর বাড়লেও সূচকে মিশ্র প্রবণতা
