নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল সূচক পতনের পাশাপাশি লেনদেনে ব্যাপক হারে পতন নেমে এলেও সিএসইতে বড় অঙ্কের শেয়ার লেনদেন হয়। ‘পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগ মেলা’ উপলক্ষে সিএসইতে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বড় অঙ্কের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। গতকাল ডিএসইতে প্রধান সূচক ১৮ পয়েন্ট কমলেও লেনদেন কমেছে প্রায় ১৪৩ কোটি টাকা। অন্যদিকে সিএসইতে সব সূচকের পতন হলেও সিএসই৩০ সূচক বেড়েছে। সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে প্রায় ৭৭ কোটি টাকা।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গতকাল সিএসসিএক্স মূল্যসূচক ৪২ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ২৪৯ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৭ দশমিক ৪০ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৬২৩ পয়েন্টে অবস্থান করে। তবে সিএস ৩০ সূচক বেড়েছে ছয় দশমিক ৫৫ পয়েন্ট। গতকাল সর্বমোট ২৩২টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৬টির, কমেছে ১২৪টির, অপরিবর্তিত ছিল ৩২টির দর।
সিএসইতে এদিন ১২০ কোটি ৪০ লাখ ৭৫ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৭৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। লেনদেনের শীর্ষে ছিল ব্র্যাক ব্যাংক। কোম্পানিটির ৪৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এছাড়া স্কয়ার ফার্মার ৪২ কোটি ৯২ লাখ, গ্রামীণফোনের ১৬ কোটি টাকার, প্রিমিয়ার সিমেন্টের এক কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
অন্যদিকে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গতকাল ১৮ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট বা দশমিক ৩০ শতাংশ কমে ছয় হাজার ২১ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক এক দশমিক ৪১ পয়েন্ট বা দশমিক ১০ শতাংশ কমে এক হাজার ৩৯৭ দশমিক শূন্য পাঁচ পয়েন্টে অবস্থান করে। আর ডিএস৩০ সূচক ১১ দশমিক শূন্য দুই পয়েন্ট বা দশমিক ৪৯ শতাংশ কমে দুই হাজার ২২৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। গতকাল ডিএসইর বাজার মূলধন কমে চার লাখ ১৭ হাজার ৬৫৮ কোটি ৫৮ লাখ ১৭ হাজার টাকা হয়।
ডিএসইতে গতকাল লেনদেন হয় ৩২৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের দিন লেনদেন হয় ৪৭২ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে লেনদেন কমেছে ১৪২ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এদিন আট কোটি ৪৮ লাখ ৭০ হাজার ৯৫৩টি শেয়ার ৭৮ হাজার ৮৭৪ বার হাতবদল হয়। লেনদেন হওয়া ৩৩৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৭টির, কমেছে ১৫১টির, অপরিবর্তিত ছিল ৪৮টির দর।
গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে গ্রামীণফোন। ১৯ কোটি ৩০ লাখ টাকায় তিন লাখ ৮৫ হাজার ৭২১টি শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারটির দর দুই টাকা ৪০ পয়সা কমেছে। এরপরের অবস্থানে ছিল মুন্নু সিরামিক, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, স্কয়ার ফার্মা, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, বিডি ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল টিউবস ও ফার্মা এইড। সর্বোচ্চ সংখ্যক শেয়ার লেনদেনকারী কোম্পানিগুলোর মধ্যে শীর্ষে উঠে আসে জেনারেশন নেক্সট। কোম্পানিটির ৪৯ লাখ ৩৯ হাজার ৪৬৭টি শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারটির দর ২০ পয়সা বেড়েছে। এর পরের অবস্থানগুলোতে ছিল লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, এনবিএল, কেয়া কসমেটিকস, বিডি ফাইন্যান্স, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ড্রাগন সোয়েটার, মুন্নু সিরামিক, সালভো কেমিক্যাল ও সিটি ব্যাংক।
৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেড়ে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে মুন্নু সিরামিক। এরপর পাঁচ দশমিক ৩০ শতাংশ বাড়ে ঢাকা ইন্স্যুন্সের। আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের দর পাঁচ দশমিক ২৮ শতাংশ, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের দর পাঁচ দশমিক ১৯ শতাংশ ও ফু-ওয়াং সিরামেকের দর বেড়েছে পাঁচ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।
অন্যদিকে তিন দশমিক ৯৯ শতাংশ দর কমে পতনের শীর্ষে চলে আসে এপেক্স ট্যানারি। সালভো কেমিক্যালসের দর কমেছে তিন দশমিক ৭৭ শতাংশ, আইসিবি এমসিএল সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ডের দর তিন দশমিক ৫৭ শতাংশ, শাইনপুকুর সিরামিকস তিন দশমিক ৪১ শতাংশ ও আইসিবি এএমসিএল সোনালী ব্যাংকের দর তিন দশমিক ৪০ শতাংশ কমেছে।
