ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১.৮০ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক:পুঁজিবাজারে গত সপ্তাহজুড়ে নেতিবাচক অবস্থানে ছিল সূচক ও লেনদেন। কমেছে বেশিরভাগ শেয়ারদর। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে মোট লেনদেন কমেছে এক দশমিক ৮০ শতাংশ। দৈনিক গড় লেনদেনও একই হারে কমেছে। গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। দুদিন সূচক ইতিবাচক ছিল। তিন দিন কমেছে। সূচকের উত্থানের চেয়ে পতনের হার অনেক বেশি ছিল। বাজার মূলধন কমেছে দশমিক ৬১ শতাংশ। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনে একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৭ দশমিক ২৩ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৬ শতাংশ কমে ছয় হাজার ১৮২ দশমিক ৭৯ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ১০ দশমিক শূন্য দুই পয়েন্ট বা দশমিক ৭৩ শতাংশ কমে এক হাজার ৩৬৬ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএসই ৩০ সূচক ১৫ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৭১ শতাংশ কমে দুই হাজার ২৩১ দশমিক ১৯ পয়েন্টে স্থির হয়। মোট ৩৩৮ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৩টির, কমেছে ২১৮টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৬ কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হয়নি একটির। দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৪২৭ কোটি ৬৯ লাখ ৭৯ হাজার ২৩১ টাকা। আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয় ৪৩৫ কোটি ৫১ লাখ ৮১ হাজার ৫৫৬ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে সাত কোটি ৮২ লাখ টাকা বা এক দশমিক ৮০ শতাংশ।

অন্যদিকে সিএসইতে ২৮৫টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৩টির, কমেছে ১৮৫টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৭টির দর।

গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট টার্নওভার বা লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১৩৮ কোটি ৪৮ লাখ ৯৬ হাজার ১৫৬ টাকা। আগের সপ্তাহে যা ছিল দুই হাজার ১৭৭ কোটি ৫৯ লাখ সাত হাজার ৭৮১ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে টার্নওভার কমেছে ৩৯ কোটি ১০ লাখ টাকা বা এক দশমিক ৮০ শতাংশ।

ডিএসইতে গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার বাজার মূলধন ছিল চার লাখ ২০ হাজার ৫৮০ কোটি ৪৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ ছিল চার লাখ ১৮ হাজার সাত কোটি ৫১ লাখ আট হাজার ৯৪৫ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে দশমিক ৬১ শতাংশ বা দুই হাজার ৫৭২ কোটি টাকা।

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স কমেছে দশমিক ৭৭ শতাংশ। এছাড়া সিএএসপিআই সূচক কমে দশমিক ৭৮ শতাংশ, সিএসই৫০ সূচক  দশমিক ৪১ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক কমেছে দশমিক ৮২ শতাংশ। সিএসই৩০ সূচক কমেছে দশমিক ৮৮ শতাংশ।

সিএসইতে গত সপ্তাহে টার্নওভারের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৩৭ কোটি ৯৪ লাখ ১২ হাজার ৯২৭ টাকা, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে কমেছে আট কোটি ৩০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে টার্নওভার ছিল ১৪৬ কোটি ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ৫৩২ টাকা।

গত সপ্তাহে ডিএসইর টপ টেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির দর ১৭ দশমিক ২২ শতাংশ বেড়েছে। তালিকায় এর পরের অবস্থানগুলোয় ছিল এমারেল্ড অয়েল, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, সার্বোডিনেট ২৫ শতাংশ কনভার্টেবল বন্ড অব ব্র্যাক ব্যাংক, আমরা নেটওয়ার্ক, ন্যাশনাল টিউবস, এটলাস বাংলাদেশ, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, ওয়াটা কেমিক্যাল, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স।

অন্যদিকে ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ দর কমে দুলামিয়া কটনের। এর পরের অবস্থানে ছিল জুট স্পিনার্স, তুং হাই নিটিং, সমতা লেদার, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং, কে অ্যান্ড কিউ, ইমাম বাটন, এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ্ ফান্ড, আরামিট সিমেন্ট, রহিমা ফুড।

ডিএসইতে টার্নওভারের দিক থেকে শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো গ্রামীণফোন লিমিটেড, স্কয়ার ফার্মা, ন্যাশনাল টিউবস, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, আমরা নেটওয়ার্ক, সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল।

সিএসইতে সাপ্তাহিক টপ টেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসা কোম্পানির মধ্যে রয়েছে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এমারেল্ড অয়েল, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, আমরা নেটওয়ার্ক, ওয়াটা  কেমিক্যাল, সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স।

অন্যদিকে টপ টেন লুজার তালিকায় উঠে আসে এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড, সমতা লেদার, তুং হাই নিটিং, সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড, কে অ্যান্ড কিউ, যমুনা অয়েল, এনভয় টেক্সটাইল, ইমাম বাটন, রহিমা ফুড, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ।

সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল প্রিমিয়ার সিমেন্ট, সাউথইস্ট ব্যাংক, বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস, ব্র্যাক ব্যাংক, ফিনিক্স ফিন্যান্স, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, ন্যাশনাল ব্যাংক, লাফার্জ সুরমা, লংকাবাংলা ফিন্যান্স, আমরা নেটওয়ার্ক।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০