নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে নেতিবাচক প্রবণতায় শেষ হয়েছে লেনদেন। এদিন সিংহভাগ শেয়ারের দরপতন হয়েছে, যে কারণে সূচক ও লেনদেনের পতন হয়। এদিন মোট ৩৫৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৫৬টির এবং কমেছে ২১০টির। বাকি ৯০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয় ৮২৩ কোটি ১০ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৯৪১ কোটি আট লাখ ৯০ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। অর্থাৎ লেনদেন কমেছে ১১৭ কোটি ৯৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এদিন ২০ কোটি ৮৪ লাখ সাত হাজার ৯৭৩টি শেয়ার এক লাখ ৪৭ হাজার ২১ বার হাতবদল হয়। গতকাল লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়। অন্যদিকে চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৪ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৩০ শতাংশ কমে পাঁচ হাজার ৬৪৯ দশমিক ৮৬ পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ১৫ দশমিক শূন্য দুই পয়েন্ট বা এক দশমিক ১৭ শতাংশ কমে এক হাজার ২৬৫ দশমিক ৩৬ পয়েন্টে অবস্থান করে। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ৩০ দশমিক ৮১ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৪০ শতাংশ কমে দুই হাজার ১৬০ দশমিক ৩৯ পয়েন্টে স্থির হয়। গতকাল ডিএসইর বাজার মূলধন চার হাজার ৯৮৪ কোটি চার লাখ ৯০ হাজার টাকা কমে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৭৯ হাজার ২৮ কোটি ৬৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকায়।
গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। কোম্পানিটির ১৫৫ কোটি আট লাখ ২২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারটির দর দুই টাকা ২০ পয়সা বেড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ৫৫ কোটি চার লাখ ৩৩ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ারদর ৭০ পয়সা কমেছে। লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের ৪১ কোটি ৪১ লাখ ৭৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারদর দুই টাকা ৫০ পয়সা কমেছে। এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের ৩৭ কোটি ১১ লাখ ৭৭ হাজার টাকার, সামিট পাওয়ার লিমিটেডের ৩৫ কোটি ৫৬ লাখ, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ৩২ কোটি ৯১ লাখ ৫৯ হাজার, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের ৩১ কোটি ৩৯ লাখ ২৪ হাজার, বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ১৭ কোটি ৫৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
৯ দশমিক ৯১ শতাংশ বেড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল এমআই সিমেন্ট ফ্যক্টরি লিমিটেড। বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ, বাংাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ, এসিআই ফরমুলেশনস লিমিটেডের ৬ দশমিক ০১ শতাংশ ও হা-ওয়েল টেক্সটাইল লিমিটেডের ৪ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস লিমিটেডের ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ, মালেক স্পিনিং লিমিটেডের তিন দশমিক ২৪ শতাংশ, আরামিট লিমিটেডের ৩ দশমিক ২২ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ১২৩ দশমিক ৮০ পয়েন্ট বা এক দশমিক ২২ শতাংশ কমে ৯ হাজার ৯৪২ দশমিক ১৫ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২০০ দশমিক ৪২ পয়েন্ট বা এক দশমিক ২০ শতাংশ কমে ১৬ হাজার ৬৪৭ দশমিক ৯৬ পয়েন্টে অবস্থান করে। সিএসইতে ২৩৭টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। দর বেড়েছে ৪৪টির, কমেছে ১৪২টির এবং ৫১টির দর অপরিবর্তিত ছিল। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮২ কোটি ৬৭ লাখ ৭৫ হাজার ৯৫০ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৩ কোটি ৪১ লাখ ৮২ হাজার ৯১৯ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৩৯ কোটি ২৫ লাখ ৯৩ হাজার ৩১ টাকার।
ডিএসইতে সিংহভাগ শেয়ারের দর কমায় সূচক ও লেনদেনে পতন
