ডিএসইতে সূচকের মিশ্র প্রবণতা লেনদেন বেড়েছে ১৩.৩৮%

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহজুড়ে লেনদেন বাড়লেও সূচকে ছিল মিশ্র প্রবণতা। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমলেও বাকি দুই সূচক ইতিবাচক গতিতে ছিল। দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে ১৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ। মোট লেনদেন বেড়েছে ৪১ দশমিক ৭২ শতাংশ। গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হলেও আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় চার কার্যদিবস। বেড়েছে বেশিরভাগ শেয়ারদর। বাজার মূলধন বেড়েছে দশমিক ৬০ শতাংশ। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক, বেশিরভাগ শেয়ারদর কমার পাশাপাশি লেনদেন কমেছে।                          

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স তিন দশমিক ৭০ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য আট শতাংশ কমে চার হাজার ৭০৬ দশমিক ৬৭ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক দশমিক ৮৫ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য আট শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৮১ দশমিক ৭৭ পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএস৩০ সূচক ১২ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৬ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৬৫০ দশমিক ৬৩ পয়েন্টে স্থির হয়। মোট ৩৫৭ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭২টির, কমেছে ১৪৮টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩৫ কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হয়নি দুটির। দৈনিক গড় লেনদেন হয় ৩৯৬ কোটি ২৯ লাখ ৯৮ হাজার ২৫২ টাকা। আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয় ৩৪৯ কোটি ৫৪ লাখ ৭৩ হাজার ৭৫৪ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে ৪৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বা ১৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

গেল সপ্তাহে ডিএসইতে মোট টার্নওভার বা লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় এক হাজার ৯৮১ কোটি ৪৯ লাখ ৯১ হাজার ২৬০ টাকা। আগের সপ্তাহে যা ছিল এক হাজার ৩৯৮ কোটি ১৮ লাখ ৯৫ হাজার ১৮ টাকা। অর্থাৎ, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে টার্নওভার বেড়েছে ৫৮৩ কোটি টাকা বা ৪১ দশমিক ৭২ শতাংশ।

ডিএসইতে গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার বাজার মূলধন ছিল তিন লাখ ৫৪ হাজার ৯৫০ কোটি  ২৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা। শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ ছিল তিন লাখ ৫৭ হাজার ৮১ কোটি ২৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে দশমিক ৬০ শতাংশ বা দুই হাজার ১৩১ কোটি টাকা।   

গত সপ্তাহে ডিএসইর টপ টেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে বিডি অটোকারস। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৩৮ দশমিক ৯২ শতাংশ বেড়েছে। তালিকায় এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা সি পার্ল রিসোর্টের ৩৬ দশমিক শূন্য আট শতাংশ, মোজাফফর হোসেন স্পিনিংয়ের ২৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ, এমএল ডায়িংয়ের দর ২১ দশমিক ৬০ শতাংশ বেড়েছে। বীকন ফার্মার ২০ দশমিক ৯২ শতাংশ, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ১৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ, কে অ্যান্ড কিউ’র ১৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ, জিকিউ  বলপেনের ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের ১৪ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ, পূরবী জেনারেল ইন্সুরেন্সের দর ১২ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়েছে। 

অন্যদিকে ২২ দশমিক ৭৬ শতাংশ কমে সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে অবস্থান করে ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডায়িং লিমিটেড। ওয়াটা কেমিক্যালের ১৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ, কোহিনুর কেমিক্যালের ১৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ, অলিম্পিক এক্সেসরিজের ১৫ দশমিক ২৮ শতাংশ, ডেল্টা স্পিনার্সের ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ, তোসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজের ১২ দশমিক ৬১ শতাংশ, প্যাসিফিক ডেনিমসের ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের ১২ দশমিক ১৪ শতাংশ, কাট্টলী টেক্সটাইলের ১১ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং খুলনা পাওয়ার কোম্পানির দর ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমেছে।                                

ডিএসইতে টার্নওভারের দিক থেকে শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো: ন্যাশনাল টিউবস, গ্রামীণফোন, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, বীকন ফার্মা, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, ওয়াটা  কেমিক্যালস, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল কোম্পানি, স্কয়ার ফার্মা, স্টাইল ক্রাফট, ন্যাশনাল পলিমার।                   

অন্যদিকে দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৩০৮ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪০টির, কমেছে ১৫১টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৭টির দর।

সিএসইতে গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স কমেছে দশমিক ৩৭ শতাংশ। এছাড়া সিএএসপিআই সূচক দশমিক ৩৮ শতাংশ, সিএসই৫০ সূচক কমেছে দশমিক ৫৪ শতাংশ, সিএসআই সূচক কমেছে  দশমিক ৩৮ শতাংশ। সিএসই৩০ সূচক কমেছে এক দশমিক শূন্য চার শতাংশ।      

সিএসইতে গেল সপ্তাহে টার্নওভারের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮১ কোটি ২০ লাখ ২৩ হাজার ৫২৯ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৮৭ কোটি ৪১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।     

৩৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেড়ে সিএসইতে সাপ্তাহিক টপ টেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে সি পার্ল রিসোর্ট। মোজাফফর হোসেন স্পিনিংয়ের ২০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, বীকন ফার্মার ২০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, মতিন স্পিনিংয়ের দর ২০ শতাংশ বেড়েছে। এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা মিথুন নিটিংয়ের ১৮ দশমিক ৯১ শতাংশ, এমএল ডায়িংয়ের ১৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ১৭ দশমিক ৬০  শতাংশ, জিকিউ বলপেনের ১৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ, কে অ্যান্ড কিউর ১৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের দর ১৫ শতাংশ বেড়েছে।

অন্যদিকে ২৪ দশমিক ৬০ শতাংশ কমে টপ টেন লুজার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে ফারইস্ট নিটিং।  এর পরের অবস্থানগুলোয় ছিল ওয়াটা কেমিক্যাল, কোহিনুর  কেমিক্যাল, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ডেল্টা স্পিনার্স, প্যাসিফিক ডেনিমস, কাট্টলী টেক্সটাইল।             

সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো: ডরিন পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মা, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, যমুনা অয়েল, গ্রামীণফোন, বেক্সিমকো লিমিটেড, সি পার্ল রিসোর্ট, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০