ডিএসইতে সূচকে মিশ্র প্রবণতা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে দরপতন অব্যাহত রয়েছে। টানা ৯ কার্যদিবস ধরে চলছে এই পতন। সূচকের সঙ্গে সঙ্গে লেনদেনও আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে। তবে গতকাল শেয়ার কেনার চাপ কিছুটা বাড়ায় ক্রয় ও বিক্রয় চাপ প্রায় সমান সমান হয়েছে। এদিন সাড়ে ৩৯ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। কমেছে ৩৯ দশমিক আট শতাংশ শেয়ারদর। গতকাল লেনদেনের শুরুতে সূচক সামান্য বাড়লেও আধঘণ্টার মধ্যে বিক্রির চাপ বাড়লে সূচকের পতন হয়। বেলা ১টার দিকে ক্রয় চাপে ডিএসইএক্স ৩২ পয়েন্ট বেড়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত তা স্থায়ী হতে পারেনি। লেনদেন শেষে সূচকের এক পয়েন্ট পতন হয়। তবে ডিএসই৩০ সূচক সামান্য ইতিবাচক ছিল। ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমেছে। লেনদেন নেমে গেছে ৩৩০ কোটির ঘরে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবগুলো সূচকের পতন হয়। লেনদেন সামান্য বেড়েছে।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স এক দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য এক শতাংশ কমে পাঁচ হাজার ৫৫৭ দশমিক ৫৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক দশমিক ৬০ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য চার শতাংশ কমে এক হাজার ৩০০ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে অবস্থান করে। আর ডিএস৩০ সূচক দশমিক ৫০ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য দুই শতাংশ বেড়ে দুই হাজার ৭৫ পয়েন্টে অবস্থান করে। গতকাল ডিএসইর বাজার মূলধন কমে তিন লাখ ৯৩ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা হয়। ডিএসইতে গতকাল লেনদেন হয় ৩৩০ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৭৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসেবে লেনদেন কমেছে প্রায় ৪৮ কোটি টাকা। এদিন ৯ কোটি ৩২ লাখ চার হাজার ৭৮১টি শেয়ার ৮৬ হাজার ৫৭ বার হাতবদল হয়। লেনদেন হওয়া ৩৩৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৪টির, কমেছে ১৩৫টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৭০টির দর।
গতকাল টাকার অঙ্কে ও শেয়ার সংখ্যায় লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড। ২৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকায় কোম্পানিটির ৭১ লাখ চার হাজার ৭০০টি শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারটির দর কমেছে এক টাকা ৩০ পয়সা। এর পরের অবস্থানগুলোয় ছিল ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, ড্রাগন সোয়েটার, বেক্সিমকো, ব্র্যাক ব্যাংক, বিএসআরএম লিমিটেড, উসমানিয়া গ্লাস, বিবিএস কেব্লস, জিপি ও মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ। সর্বোচ্চসংখ্যক শেয়ার লেনদেনে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে ড্রাগন সোয়েটার। কোম্পানিটির ৫৭ লাখ ছয় হাজার ৩০২টি শেয়ার ১২ কোটি সাত লাখ টাকায় লেনদেন হয়। এর পরের অবস্থানে ছিল বেক্সিমকো, কেয়া কসমেটিকস, আরডি ফুড, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং, এনবিএল, ইসলামী ব্যাংক, সালভো কেমিক্যাল ও এক্সিম ব্যাংক। দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসা সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের দর বেড়েছে ছয় দশমিক ৫৮ শতাংশ। ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের দর বাড়ে ছয় দশমিক ২৪ শতাংশ। স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে চার দশমিক ৮৩ শতাংশ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের দর বাড়ে চার দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং আইটিসির দর চার দশমিক ২২ শতাংশ বেড়েছে।
ছয় দশমিক ৮৯ শতাংশ কমে মডার্ন ডায়িং দরপতনের শীর্ষে উঠে আসে। এরপর ছয় দশমিক ৮০ শতাংশ কমে শ্যামপুর সুগারের দর। তাল্লু স্পিনিংয়ের দর ছয় দশমিক ৩২ শতাংশ, কুইন সাউথের দর ছয় দশমিক ১৩ শতাংশ এবং এইচআর টেক্সটাইলের দর পাঁচ দশমিক ৮৫ শতাংশ কমেছে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গতকাল সিএসসিএক্স মূল্যসূচক ৩২ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৩৬১ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৩ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট কমে ১৭ হাজার ১৪২ পয়েন্টে অবস্থান করে। গতকাল সর্বমোট ২২৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৮টির, কমেছে ১০৬টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪০টির দর।
সিএসইতে এদিন ১৭ কোটি ৯৯ লাখ ৪২ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৭ কোটি ১৬ লাখ ৭৭ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৮২ লাখ টাকা। সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয় ড্রাগন সোয়েটারের। কোম্পানিটির দুই কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এছাড়া ওয়েস্টার্ন মেরিন এক কোটি ৪৭ লাখ, বেক্সিমকো এক কোটি ২৭ লাখ, ইউনাইটেড পাওয়ার ৭৭ লাখ, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স ৬৬ লাখ, বিএসআরএম ৬০ লাখ, বিবিএস কেব্লস ৫৩ লাখ, আরডি ফুড ৪০ লাখ, ইসলামী ব্যাংক ৩৯ লাখ ও এনবিএলের ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০