নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল সূচক ও লেনদেনে ইতিবাচক গতি লক্ষ্য করা গেছে। গতকাল সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। বাকি শেয়ারের মধ্যে অর্ধেক শেয়ারের দর বেড়েছে। সূচক ও লেনদেন আগের কার্যদিবসের তুলনায় সামান্য বেড়েছে। গতকাল সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। এক ঘণ্টা পর বিক্রির চাপ বাড়লে সূচক ও লেনদেন বাড়তে থাকে এবং সে ধারা শেষ সময় পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স সূচক ২ দশমিক ২৮ পয়েন্ট ইতিবাচক অবস্থানে যায়। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২ দশমিক ২৮ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ বেড়ে তিন হাজার ৯৬০ দশমিক ৬৫ পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক শূন্য দশমিক ৬৭ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক শূন্য সাত শতাংশ বেড়ে ৯১৮ দশমিক ২৯ পয়েন্টে অবস্থান করে। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক শূন্য দশমিক ৮৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৩২৫ দশমিক ৬৩ পয়েন্টে স্থির হয়।
গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয় ৬৫ কোটি ৩০ লাখ ৭৮ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬১ কোটি ৫৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে লেনদেন বেড়েছে তিন কোটি ৭৬ লাখ টাকার। এদিন দুই কোটি ৪৬ লাখ সাত হাজার ৮৩৯টি শেয়ার ১০ হাজার ৫২৭ বার হাতবদল হয়।
এদিন মোট ২৪৬টি কোম্পানির লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ২০টির এবং কমেছে ২০টির। গতকাল ডিএসইর বাজার মূলধন ১২০ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ১০ হাজার ৩৮৬ কোটি ৬০ লাখ ৯০ হাজার টাকায়।
গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। কোম্পানিটির ৬ কোটি ১২ লাখ ৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারটির দর এক টাকা ১০ পয়সা বেড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বেক্সিমকোর ৪ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দর কমেছে ২০ পয়সা। ন্যাশনাল ব্যাংকের ৩ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দর অপরিবর্তিত ছিল। এরপরের অবস্থানগুলোতে থাকা লিন্ডে বাংলাদেশের ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকার, রেকিট বেনকিজারের এক কোটি ৯২ লাখ টাকার, ইন্দো-বাংলা ফার্মার এক কোটি ৬২ লাখ টাকার, সেন্ট্রাল ফার্মার এক কোটি ৩২ লাখ টাকার, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল কোম্পানির ৯৯ লাখ টাকার, ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের ৯১ লাখ টাকার এবং এক্সিম ব্যাংকের ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়ে দরবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল দেশ গার্মেন্ট লিমিটেড। রেকিট বেনকিজারের তিন দশমিক ১৭ শতাংশ, মতিন স্পিনিং মিলসের ৩ দশমিক শূন্য চার শতাংশ, ফিনিক্স ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের দুই দশমিক ৪৬ শতাংশ, এসিআই ফরমুলেশনস লিমিটেডের দুই দশমিক শূন্য তিন শতাংশ, ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফাইন্যান্স মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ানের দুই শতাংশ, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের এক দশমিক ৫৭ শতাংশ, এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কোম্পানি লিমিটেডের (প্রাণ) এক দশমিক ৪৫ শতাংশ, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের এক দশমিক ৪৩ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।
অন্যদিকে ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ দর কমে পতনের শীর্ষে উঠে আসে আইসিবি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান: স্কিম ওয়ান। ঢাকা ডায়িংয়ের দর ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ, ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালান্সড ফান্ডের দর ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ, আইসিবি এএমসিএল ফার্স্ট অগ্রণী ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ডের দর তিন দশমিক ১২ শতাংশ, এমারাল্ড অয়েলের দর দুই দশমিক শূন্য চার শতাংশ, বেক্সিমকো সিনথেটিকস লিমিটেডের দর এক দশমিক ৯৬ শতাংশ, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানির (বেক্সিমকো) এক দশমিক ৫১ শতাংশ এবং প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের এক দশমিক ৩১ শতাংশ কমেছে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ২ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক শূন্য চার শতাংশ বেড়ে ছয় হাজার ৮১১ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক শূন্য তিন শতাংশ বেড়ে ১১ হাজার ২৪৩ দশমিক শূন্য দুই পয়েন্টে অবস্থান করে। সিএসইতে ৮৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ১২টির এবং ৬০টির দর অপরিবর্তিত ছিল। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে এক কোটি ৭০ লাখ ৯০ হাজার ৪৭১ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১০ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার ৩৭৮ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে লেনদেন কমেছে প্রায় ৯ কোটি টাকা।
সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। কোম্পানিটির ৩২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এরপরে এক্সিম ব্যাংকের ১২ লাখ, ন্যাশনাল টি কোম্পানির ১০ লাখ টাকার, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ৯ লাখ, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ৯ লাখ, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সাত লাখ টাকার, ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের সাত লাখ টাকার এবং সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ছয় লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
