নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ইতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে। ডিএসইতে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়ায় সূচকের সঙ্গে লেনদেন আগের কার্যদিবসের তুলনায় বেড়েছে। এদিন মোট ৩৫৫টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ১৪৭টির এবং কমেছে ১১৯টির। বাকি ৮৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয় ৮২৫ কোটি ৩১ লাখ ১৩ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭১৯ কোটি ৫৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। অর্থাৎ লেনদেন বেড়েছে ১০৫ কোটি ৭১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। এদিন ৩২ কোটি ৩০ লাখ ৯৪ হাজার ১৮৩টি শেয়ার এক লাখ ৬৫ হাজার ৪০৮ বার হাতবদল হয়। গতকাল লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়। অন্যদিকে চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বাড়লেও লেনদেন আগের কার্যদিবসের তুলনায় সামান্য কমেছে।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২০ দশমিক শূন্য আট পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৯ শতাংশ বেড়ে পাঁচ হাজার ৬৯ দশমিক ৮৮ পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক পাঁচ দশমিক ১৯ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ১৬৩ দশমিক ৬০ পয়েন্টে অবস্থান করে। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ছয় দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৯ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৭৬৭ দশমিক ১০ পয়েন্টে স্থির হয়। গতকাল ডিএসইর বাজার মূলধন এক হাজার ৪০৪ কোটি ২৮ লাখ ২১ হাজার টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ছয় হাজার ২৭৪ কোটি ৭৮ লাখ ৭৮ হাজার টাকায়।
গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। কোম্পানিটির ৫৯ কোটি ৪৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারটির দর দুই টাকা ২০ পয়সা বেড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের ৫১ কোটি ৭৭ লাখ ৮৩ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ারদর এক টাকা ৮০ পয়সা বেড়েছে। রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩৮ কোটি ১৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারদর দুই টাকা ৭০ পয়সা বেড়েছে।
এরপরের অবস্থানগুলোতে থাকা আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেডের ৩০ কোটি ৫৯ লাখ ৪৪ হাজার, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ২৬ কোটি ২৭ লাখ তিন হাজার টাকার, ফরচুন শুজ লিমিটেডের ২৪ কোটি ১৩ লাখ ৫১ হাজার, এসএস স্টিল লিমিটেডের ১৩ কোটি ৭৪ লাখ ৪২ হাজার টাকার, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ১৩ কোটি ৪৩ লাখ ১৭ হাজার, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের ১১ কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ১০ কোটি ১৬ লাখ ৪৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
১০ শতাংশ বেড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড। ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেডের ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ, অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালস লিমিটেডের ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ, ফাইন ফুডস লিমিটেডের ৯ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স লিমিটেডের আট দশমিক ৯২ শতাংশ, ইয়াকিন পলিমার লিমিটেডের আট দশমিক ৮০ শতাংশ, ফু ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের আট দশমিক ৪০ শতাংশ, মালেক স্পিনিং মিলস লিমিটেডের আট দশমিক ৩৩ শতাংশ, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সাত দশমিক ৫০ শতাংশ এবং ফু ওয়াং ফুডস লিমিটেডের সাত দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ৩২ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়ে আট হাজার ৭৪৬ দশমিক ৩০ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৮ দশমিক শূন্য পাঁচ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ বেড়ে ১৪ হাজার ৫৩১ দশমিক শূন্য পাঁচ পয়েন্টে অবস্থান করে। সিএসইতে ২৭১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। দর বেড়েছে ১৩২টির, কমেছে ৮৮টির এবং ৫১টির দর অপরিবর্তিত ছিল। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ৪৫ লাখ ২৪ হাজার ৩৪৭ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩২ কোটি ২২ লাখ ৪১ হাজার ৩৫১ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে লেনদেন কমেছে ৭৭ লাখ ১৭ হাজার চার টাকার।
সিএসইতে এদিন লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। কোম্পানিটির পাঁচ কোটি তিন লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের তিন কোটি ৬৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের ৮২ লাখ ৪০ হাজার টাকার, ফরচুন শুজ লিমিটেডের ৮০ লাখ ২০ হাজার টাকার, রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৭৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ৭৪ লাখ টাকার, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের ৭২ লাখ ৭০ হাজার টাকার, অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালস লিমিটেডের ৭০ লাখ ৬০ হাজার টাকার, আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৬৮ লাখ ৬০ হাজার টাকার এবং এডিএন টেলিকম লিমিটেডের ৬১ লাখ ৬০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।