ডিএসইতে সূচক ও শেয়ারদরে পতন, লেনদেন বেড়েছে সামান্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল সবগুলো সূচক পতনের পাশাপাশি বেশিরভাগ কোম্পানির দরপতন হয়। তবে লেনদেন সামান্য বেড়েছে। গতকাল ৩০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। কমেছে ৫৯ শতাংশের দর। শুরুতে সূচকের উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। ১০ মিনিটের মধ্যে বিক্রির চাপ বাড়লে সূচকে পতন নেমে আসে। এরপর ফের উত্থান হয়। বেলা সাড়ে ১১টার পর ফের বিক্রির চাপ বাড়তে থাকে। ফলে সূচক নেমে যায়। এরপর মোটামুটি স্থিতিশীল অবস্থানে থেকে লেনদেন শেষ হয়। শেষ পর্যন্ত ডিএসইএক্স সূচক ১৩ পয়েন্ট নেতিবাচক অবস্থানে থেকে লেনদেন শেষ হয়। বাকি দুই সূচকেরও পতন হয়। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক, শেয়ারদর ও লেনদেনেও পতন হয়েছে।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩ দশমিক মূন্য দুই পয়েন্ট বা দশমিক ২৬ শতাংশ কমে চার হাজার ৯৩৬ দশমিক ৩৭ পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক তিন দশমিক ৪৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৪ শতাংশ কমে এক হাজার ১৩৬ দশমিক ৩১ পয়েন্টে অবস্থান করে। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক এক দশমিক ২৪ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য সাত শতাংশ কমে এক হাজার ৭৫৮ দশমিক ৫০ পয়েন্টে স্থির হয়।
গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয় ৩৪৬ কোটি তিন লাখ ৪৬ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩০৪ কোটি ২৯ লাখ ৭৭ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৪১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এদিন ১০ কোটি ৯৫ লাখ ১৮ হাজার ৩৭৩ শেয়ার এক লাখ ৭৫৮ বার হাতবদল হয়। গতকাল ডিএসইর বাজার মূলধন ৭১৩ কোটি টাকা কমে দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৭৩ হাজার ৪৩ কোটি ৯৬ লাখ ৩৯ হাজার টাকায়। লেনদেন হওয়া ৩৫৪ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৮টির, কমেছে ২০৯টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩৭টির দর।
গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে টেলিযোগাযোগ খাতের বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল কোম্পানি লিমিটেড। কোম্পানিটির ১২ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারটির দর আড়াই টাকা বেড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ন্যাশনাল টিউবসের ১১ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দর বেড়েছে তিন টাকা ৯০ পয়সা। বীকন ফার্মার আট কোটি এক লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দর বেড়েছে এক টাকা ৪০ পয়সা। এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা সামিট পাওয়ারের সাত কোটি ৬৩ লাখ টাকার, গ্রামীণফোনের সাত কোটি ৩৭ লাখ টাকার, ইস্টার্ন কেব্লসের সাত কোটি ১৯ লাখ টাকা, মুন্নু জুট স্টাফলার্সের সাত কোটি ১৩ লাখ টাকার, জেএমআই সিরিঞ্জের ছয় কোটি ৯৫ লাখ টাকার, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের ছয় কোটি ৮৪ লাখ টাকার, স্কয়ার ফার্মার ছয় কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
৯ দশমিক ৪১ শতাংশ বেড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড। এরপর আট দশমিক ৯৮ শতাংশ বেড়েছে সিএপিএম আইবিবিএল মিউচুয়াল ফান্ডের দর। পদ্মা অয়েলের দর আট দশমিক ৭৩ শতাংশ, যমুনা অয়েলের দর সাত দশমিক ৯১ শতাংশ, প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট আইসিবি এএমসিএল মিউচুয়াল ফান্ডের দর সাত দশমিক ২৭ শতাংশ, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের দর ছয় দশমিক ৭৮ শতাংশ, আইসিবি এএমসিএল ফার্স্ট অগ্রণী ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ডের দর ছয় দশমিক ৫৫ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের দর ছয় দশমিক ৪৬ শতাংশ, ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের দর সাড়ে পাঁচ শতাংশ ও প্রিমিয়ার ইন্সুরেন্সের দর চার দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়েছে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসসিএক্স তিন দশমিক ২২ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য তিন শতাংশ কমে ৯ হাজার ১৩৬ দশমিক ৭৮ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই সাত দশমিক ৬৪ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ কমে ১৫ হাজার ৪০ দশমিক ৫৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। সিএসইতে ২৪৩ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৮০টির, কমেছে ১২৭টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩৬টির দর। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৬২৫ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৯ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার ৯০ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে লেনদেন কমেছে ১৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।