নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ডিএসইতে সূচক কমলেও লেনদেন আগের কার্যদিবসের তুলনায় বেড়েছে। এদিন বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর কমায় সূচক কমেছে। এদিন মোট ৩৪৯টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৯৪টির এবং কমেছে ১৪৪টির। বাকি ১১১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয় ৮০৪ কোটি ২১ লাখ দুই হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭৬৬ কোটি ২১ লাখ ৫১ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। অর্থাৎ লেনদেন বেড়েছে ৩৭ কোটি ৯৯ লাখ ৫১ হাজার টাকা। এদিন ২৯ কোটি ৫৯ লাখ ৫২ হাজার ৬০১টি শেয়ার এক লাখ ৬৪ হাজার ২০৬ বার হাতবদল হয়। গতকাল লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়। অন্যদিকে চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) একই চিত্র দেখা গেছে।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৪ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ কমে চার হাজার ৮৬৬ দশমিক ৮৪ পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ছয় দশমিক ৯৪ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ কমে এক হাজার ১১৩ দশমিক ৯৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ১১ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ কমে এক হাজার ৬৮৭ দশমিক ৪০ পয়েন্টে স্থির হয়। গতকাল ডিএসইর বাজার মূলধন ৮১৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা কমে দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৯ কোটি ২১ লাখ ৩৭ হাজার টাকায়।
গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। কোম্পানিটির ৫২ কোটি ৯৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারটির দর চার টাকা ২০ পয়সা কমেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ কোটি ৩৩ লাখ ৫৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারদর এক টাকা ৯০ পয়সা বেড়েছে। বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের ২২ কোটি ৮৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ারদর এক টাকা ২০ পয়সা কমেছে। এরপরের অবস্থানগুলোতে থাকা সন্ধানী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ১৮ কোটি ৩৫ লাখ ৪৭ হাজার, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ১৮ কোটি ১৬ লাখ ২৪ হাজার টাকার, নিটল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ১৫ কোটি শূন্য সাত লাখ ৯১ হাজার, নর্দান ইসলামী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ১৪ কোটি ৭৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকার, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ১৪ কোটি ৪৪ লাখ ৬২ হাজার, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ১৪ কোটি ২৯ লাখ ৮৯ হাজার এবং ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেডের ১৪ কোটি ২৮ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
১০ শতাংশ বেড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল কোহিনূর কেমিক্যালস লিমিটেড। বাংলাদেশ ল্যাম্পস লিমিটেডের ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ, সন্ধানী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ, দি পেনিনসুলা চিটাগং লিমিটেডের ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেডের ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ, আরামিট লিমিটেডের আট দশমিক ৭১ শতাংশ, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেডের সাত দশমিক ৮১ শতাংশ, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পাঁচ দশমিক ৮৫ শতাংশ, রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পাঁচ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন লিমিটেডের পাঁচ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ২৬ দশমিক ১৪ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ কমে আট হাজার ৪২৭ দশমিক শূন্য ছয় পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৬ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৩ শতাংশ কমে ১৩ হাজার ৯৯১ দশমিক ৪৩ পয়েন্টে অবস্থান করে। সিএসইতে ২৪৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। দর বেড়েছে ৭৪টির, কমেছে ১১৫টির এবং ৫৬টির দর অপরিবর্তিত ছিল। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৬৬ লাখ ৫৩ হাজার ২২৯ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ৫৬ হাজার ৯১২ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৯৬ হাজার ৩১৭ টাকার।
সিএসইতে এদিন লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড। কোম্পানিটির তিন কোটি ৭০ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের দুই কোটি ৪৭ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেডের এক কোটি ২৩ লাখ টাকার, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের এক কোটি তিন লাখ ১০ হাজার টাকার, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের ৯৪ লাখ ৯০ হাজার টাকার, সন্ধানী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৮৫ লাখ টাকার, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ৬১ লাখ ৮০ হাজার টাকার, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৬০ লাখ ৪০ হাজার টাকার, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ৫৭ লাখ টাকার এবং বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল কোম্পানি লিমিটেডের ৪৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।