নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ডিএসইতে সূচক বাড়লেও লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ৯৬৯ কোটি টাকা কমেছে। আর এদিন লেনদেন কমে এক হাজার ৫০০ কোটি টাকার ঘরে এসে দাঁড়িয়েছে। এদিন মোট ৩৬১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ১২০টির এবং কমেছে ১৭১টির। বাকি ৭০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয় এক হাজার ৫৭৭ কোটি ৪৬ লাখ ৪১ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল দুই হাজার ৫৪৬ কোটি ৮২ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। অর্থাৎ লেনদেন কমেছে ৯৬৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এদিন ৫৫ কোটি ২৯ লাখ ২৯ হাজার ৯২৫টি শেয়ার দুই লাখ ৫২ হাজার ৩৫১ বার হাতবদল হয়। গতকাল লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়। অন্যদিকে চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই চিত্র দেখা গেছে।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩০ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়ে পাঁচ হাজার ৬৪০ দশমিক ১৯ পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক দুই দশমিক ৫৩ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ২৮১ দশমিক ২১ পয়েন্টে অবস্থান করে। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ১৩ দশমিক ১৭ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৬৩ শতাংশ বেড়ে দুই হাজার ৭২ দশমিক শূন্য তিন পয়েন্টে স্থির হয়। গতকাল ডিএসইর বাজার মূলধন এক হাজার ৫৮৫ কোটি ২৫ লাখ ১৬ হাজার টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৬৯ হাজার ২৮৮ কোটি ৮৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকায়।
গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড। কোম্পানিটির ১৫৩ কোটি ৬৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারটির দর দুই টাকা ৯০ পয়সা বেড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ৯৯ কোটি ৩১ লাখ ৫২ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ারদর এক টাকা ৩০ পয়সা বেড়েছে। লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের ৯৪ কোটি ১০ লাখ ৬৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারদর তিন টাকা ৩০ পয়সা বেড়েছে।
এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ৮৮ কোটি ৮১ লাখ ১০ হাজার টাকার, আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেডের ৭২ কোটি ১৭ লাখ ৬২ হাজার টাকার, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের ৪৫ কোটি ৯৯ লাখ ৪৯ হাজার, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের ৪১ কোটি ২৪ লাখ ৫৭ হাজার, জিবিবি পাওয়ার লিমিটেডের ৩৯ কোটি ১১ লাখ ৮৭ হাজার টাকার এবং অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালস লিমিটেডের ৩৭ কোটি ৭৩ লাখ ২৪ হাজার টাকার, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের ২৬ কোটি ৪৯ লাখ ৫২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল এএফসি এগ্রো বায়োটেক লিমিটেড। রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ, ফু ওয়াং সিরামিকস লিমিটেডের ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ, জিবিবি পাওয়ার লিমিটেডের ৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ, খান বাহাদুর পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালস লিমিটেডের ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ, এপোলো ইস্পাত কমেপ্লক্স লিমিটেডের ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ, এসএস স্টিল লিমিটেডের সাত দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেস লিমিটেডের সাত দশমিক শূন্য সাত শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ২৩ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ২৪ শতাংশ বেড়ে ৯ হাজার ৮২৭ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৮ দশমিক ১০ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ বেড়ে ১৬ হাজার ২৯৪ দশমিক ৪২ পয়েন্টে অবস্থান করে। সিএসইতে ২৬৯টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। দর বেড়েছে ৯৫টির, কমেছে ১৩৪টির এবং ৪০টির দর অপরিবর্তিত ছিল। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১০৮ কোটি ৮৬ লাখ ৯০ হাজার ৪৩৩ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৫৫ কোটি ৪৯ লাখ ২১ হাজার ৩৩০ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে লেনদেন কমেছে ৪৬ কোটি ৬২ লাখ ৩০ হাজার ৮৯৭ টাকার।
সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে রবি আজিয়াটা লিমিটেড। কোম্পানিটির ৩৪ কোটি ৮৫ লাখ ১০ হাজার হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ১৩ কোটি ৬৫ লাখ ২০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের ১১ কোটি ৭৮ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের পাঁচ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার টাকার, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চার কোটি ৮৮ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।