ডিএসইতে সূচক বাড়লেও দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ৪.৪৫ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে গত সপ্তাহে সবকটি সূচক ইতিবাচক থাকলেও মোট লেনদেন এবং দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে। তবে বাজার মূলধন ইতিবাচক অবস্থানে ছিল। গত সপ্তাহে চার কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়। এ কারণে মোট লেনদেন কমার হার বেশি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে চার কার্যদিবসের মধ্যে তিন দিন সূচক বেড়েছে, কমেছে মাত্র একদিন। তবে কমেছে বেশিরভাগ শেয়ারের দর।
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬০ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট বা এক দশমিক ১২ শতাংশ বেড়ে পাঁচ হাজার ৪৬৭ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক এক দশমিক শূন্য চার পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য আট শতাংশ বেড়ে এক হাজার ২৪৬ দশমিক ৯০ পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএসই ৩০ সূচক ২১ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বা এক দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৯১৫ দশমিক ২৭ পয়েন্টে স্থির হয়। মোট ৩৪৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬১টির, কমেছে ১৬৮টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৩ কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হয়নি চারটির। দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৬৫৬ কোটি ৮৯ লাখ ৬৯ হাজার ৭৬৫ টাকা। আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয় ৬৮৭ কোটি ৪৮ লাখ ৭০ হাজার ১৯০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ৩০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বা চার দশমিক ৪৫ শতাংশ।
গেল সপ্তাহে ডিএসইতে মোট টার্নওভার বা লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় দুই হাজার ৬২৭ কোটি ৫৮ লাখ ৭৯ হাজার ৫৯ টাকায়। আগের সপ্তাহে যা ছিল তিন হাজার ৪৩৭ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার ৯৫২ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে টার্নওভার কমেছে ৮০৯ কোটি ৮৪ লাখ ৭১ হাজার টাকা বা ২৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
ডিএসইতে গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার বাজার মূলধন ছিল তিন লাখ ৮৪ হাজার ৫৫৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ ছিল তিন লাখ ৮৭ হাজার ৪২৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে দশমিক ৭৪ শতাংশ বা দুই হাজার ৮৬৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহে ডিএসইর টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে আর্থিক খাতের মাইডাস ফাইন্যান্সিং কোম্পানি। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির দর ২২ দশমিক ৬০ শতাংশ বেড়েছে। তালিকায় এর পরের অবস্থানগুলোতে থাকা প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের দর ১৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ, এসআইবিএলের দর ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেড়েছে। প্রিমিয়ার লিজিংয়ের দর ১৫ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির দর ১৪ দশমিক ২১ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া রূপালী ব্যাংকের দর ১৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের ১০ দশমিক ৭৩ শতাংশ, ইউনিয়ন ক্যাপিটালের ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ ও ডাচ্-বাংলা ক্যাপিটালের দর ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়েছে।
অন্যদিকে ২২ দশমিক শূন্য আট শতাংশ কমে সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে অবস্থান করে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স। আমান কটন ফাইব্রাসের দর ২০ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ, কেডিএস এক্সেসরিজের ১৯ দশমিক ২২ শতাংশ, দুলামিয়া কটন ১৮ দশমিক ৬২ শতাংশ, ড্রাগন সোয়েটার ১৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ, সাভার রিফ্যাক্টরিজের ১৬ দশমিক ৮০ শতাংশ, এইচআর টেক্সটাইল ১৬ দশমিক ৪০ শতাংশ, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ ১৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ, সমতা লেদার ১৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ ও শাশা ডেনিমসের দর ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়েছে।
ডিএসইতে টার্নওভারের দিক থেকে শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলোÑবিবিএস কেব্লস লিমিটেড, ইফাদ অটোস লিমিটেড, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, সায়হাম টেক্সটাইল, হামিদ ফেব্রিকস, ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং, এবি ব্যাংক, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, লংকাবাংলা ফিন্যান্স, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন।

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০