নিজস্ব প্রতিবেদক:সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক, শেয়ারদর ও লেনদেনে পতন হয়। প্রায় ৫৭ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়। এতে করে প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের ৪৮ পয়েন্ট পতন হয়। বাকি দুই সূচকও পতনে ছিল। লেনদেন কমে ৬০০ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। বাকি দুই সূচকও পতনে ছিল। লেনদেনের শুরুতেই সূচক ঊর্ধ্বমুখী হলেও তা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। এরপর পতন নেমে আসে। ধীরে ধীরে নামতে থাকে সূচক। মাঝে আরও দুইবার ওঠার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। লেনদেন শেষে প্রধান সূচক ৪৮ পয়েন্ট নেতিবাচক অবস্থানে চলে যায়। বাকি দুই সূচকও পতনে ছিল। চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক, শেয়ারদর কমলেও লেনদেন বেড়েছে।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৮ পয়েন্ট বা এক দশমিক শূন্য দুই শতাংশ কমে চার হাজার ৬৫০ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে অবস্থান করে।
ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ১২ দশমিক ৪২ পয়েন্ট বা এক দশমিক ১৪ শতাংশ কমে এক হাজার ৭৩ দশমিক ৫৭ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ২০ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বা এক দশমিক ২৯ শতাংশ কমে এক হাজার ৫৭১ দশমিক ২১ পয়েন্টে অবস্থান করে। গতকাল ডিএসইর বাজার মূলধন চার হাজার ৯৫৩ কোটি টাকা কমে দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৫৫ হাজার ২৪ কোটি ৫১ লাখ ৮৫ হাজার টাকায়। ডিএসইতে লেনদেন হয় ৬০০ কোটি ৫৬ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬৬৮ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসেবে লেনদেন কমেছে ৬৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এদিন ২০ কোটি ৮০ লাখ ৩১ হাজার ৪১৭টি শেয়ার এক লাখ ৪৯ হাজার ৩০৭ বার হাতবদল হয়। লেনদেন হওয়া ৩৫৫ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৮৩টির, কমেছে ২০১টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৫১টির দর।
গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বস্ত্র খাতের ভিএফএস থ্রেড ডায়িং। এরপরে গ্রামীণফোনের ২২ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ২৩ টাকা ৬০ পয়সা। এরপর ওরিয়ন ফার্মার ২০ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দর কমেছে দেড় টাকা। কনফিডেন্স সিমেন্টের ১৭ কোটি সাত লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর কমেছে দুই টাকা ৪০ পয়সা। এসকে ট্রিমসের ১৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দর কমেছে দুই টাকা ৪০ পয়সা। বিএসআরএম লিমিটেডের ১৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে দুই টাকা ৮০ পয়সা। এছাড়া লাফার্জহোলসিমের ১২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রোর ১২ কোটি আট লাখ টাকা, সিলভা ফার্মার ১১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজের ১১ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ বেড়ে ভিএফএস থ্রেড দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে। গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালের দর ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ, কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ, সেন্ট্রাল ফার্মার দর ৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ, সিলভা ফার্মার দর আট দশমিক ৮৩ শতাংশ বেড়েছে।
অন্যদিকে সিএসইতে গতকাল সিএসসিএক্স মূল্য সূচক ৭০ দশমিক ২০ পয়েন্ট বা দশমিক ৮০ শতাংশ কমে আট হাজার ৬৫৬ দশমিক ১৮ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১১৬ দশমিক ১০ পয়েন্ট বা দশমিক ৮০ শতাংশ কমে ১৪ হাজার ২৬৩ দশমিক ৯৯ পয়েন্টে অবস্থান করে। গতকাল সর্বমোট ২৪৪ কোম্পানি এবং মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৮টির, কমেছে ১৩৪টির, অপরিবর্তিত ছিল ৩২টির দর।
সিএসইতে এদিন ২৫ কোটি ৯৮ লাখ ৪৬ হাজার ৩১৩ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২৩ কোটি ৩২ লাখ ৫২ হাজার ২২৩ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসেবে লেনদেন বেড়েছে দুই কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করে মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটির দুই কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এরপরের অবস্থানগুলোতে থাকা এসকে ট্রিমসের দুই কোটি ৪৫ লাখ, ডরিন পাওয়ারের এক কোটি ৪৮ লাখ, গ্রামীণফোনের ৮৭ লাখ, বিএসআরএম লিমিটেডের ৮৬ লাখ, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশের ৮৫ লাখ, ফার কেমিক্যালের ৭৯ লাখ, সি পার্ল রিসোর্টের ৬৯ লাখ, কনফিডেন্স সিমেন্টের ৬০ লাখ ও এমএল ডায়িংয়ের ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।