ডিএসইতে ১৩ বছরের সর্বনিম্ন লেনদেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রলম্বিত মন্দাভাবের মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন নেমে এসেছে ১৩ বছর ২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে। বিশ্লেষকরা বলছেন, শেয়ারের ‘ফ্লোর প্রাইস’ নির্ধারণ করে দেওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অস্বস্তি কাজ করছে, তারা শেয়ার কিনছেন না।

সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার (২১ জুন) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট ৩৮ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যা আগের দিন ছিল ৬৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। ঢাকার বাজারে এরচেয়ে কম লেনদেন হয়েছিল ১৫৮ মাস আগে।
২০০৭ সালের ২৩ এপ্রিল মোট ৩৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার হতবদল হয়েছিল।

একজন বাজার বিশ্লেষক বলেন, সবাই মনে করছে আমি যদি এখন শেয়ার কিনি, আর ফ্লোর উঠিয়ে দেয়, তাহলে তো টাকা আটকে যাবে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আতঙ্ক আর টানা দরপতনের পর গত ১৯ মার্চ সার্কিট ব্রেকারের নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়।

সেদিন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এক আদেশে বলা হয়, আগের পাঁচ দিন প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের ক্লোজিং প্রাইসের গড় হবে ওই কোম্পানির শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস। ওই শেয়ারের জন্য ওই দর ‘সার্কিট ব্রেকার’ হিসেবে গণ্য হবে। তবে দর বৃদ্ধিসহ অন্য ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকারের আগের নিয়মই অব্যাহত থাকবে।

লেনদেন কমলেও রোববার ঢাকার বাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২ দশমিক ৪০ পয়েন্ট বা দশমিক ০৬ শতাংশ বেড়ে ৩ হাজার ৯৬২ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট হয়েছে।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৩ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট কমে হয়েছে ১১ হাজার ২৫০ পয়েন্ট, যা আগের দিনের তুলনায় দশমিক ০৩ শতাংশ কম। সিএসইতে এদিন ৯ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিন ছিল ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৪৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭টির, আর কমেছে ১৪টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২১৪টির দর। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮টির, কমেছে ৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৪টির দর।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০