নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত কয়েক সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। ডিএসইর মোট লেনদেনের পাঁচ দশমিক ২৪ শতাংশ ছিল বেক্সিমকোর। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে পাঁচ দশমিক ৫০ শতাংশ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রায় চার কোটি ৪৭ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার বাজারমূল্য ১৩৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
সর্বশেষ কার্যদিবসে বেক্সিমকোর শেয়ারদর তিন দশমিক ৬৫ শতাংশ বা এক টাকা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২৯ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৯ টাকা ২০ পয়সা। দিনজুড়ে ৭৭ লাখ ২২ হাজার ৮৬২টি শেয়ার মোট তিন হাজার ৭৩১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৯ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ২২ টাকা থেকে ৩৬ টাকায় ওঠানামা করে।
২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ২৯ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ৭৬ টাকা ২৫ পয়সা।
‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাতে ২২ দশমিক ৬৪ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ২০ দশমিক ০৯। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৮৪ কোটি ৫৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ পাঁচ হাজার ২০০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ২০ দশমিক ১৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ, বিদেশি আট দশমিক ৯৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৫৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
এর পরে মোট লেনদেনের তিন দশমিক ৯৯ শতাংশ ছিল ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির তিন কোটি ৩৩ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার বাজারমূল্য ১০৪ কোটি ৪৮ লাখ ৫২ হাজার টাকা। গত সপ্তাহে শেয়ারটির দর বেড়েছে ১৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির ৪০ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার বাজারমূল্য ৮৪ কোটি টাকা। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের তিন দশমিক ২০ শতাংশ। গত সপ্তাহে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
টপটেন তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিবিএস কেব্লসের ৮৫ লাখ ৪৬ হাজার শেয়ার ৬৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকায় লেনদেন হয়, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের দুই দশমিক ৫৫ শতাংশ। গত সপ্তাহে শেয়ারটির দর বেড়েছে ১১ দশমিক ৯৯ শতাংশ। স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ২০ লাখ ৫২ হাজার শেয়ার ৬২ কোটি পাঁচ লাখ টাকায় লেনদেন হয়। যা মোট লেনদেনের ২ দশমিক ৩৭ শাতংশ। শেয়ারটির দর কমেছে দশমিক ৬৯ শতাংশ। ব্র্যাক ব্যাংকের ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার শেয়ার ৬১ কোটি ৪৬ লাখ টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক ৩৫ শতাংশ। নাভানা সিএনজির ৭৩ লাখ ৯ হাজার শেয়ার ৫৫ কোটি ১৯ লাখ টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক ১১ শতাংশ। শেয়ারটির দর বেড়েছে দশমিক ১৩ শতাংশ। ড্রাগন সোয়েটারের দুই কোটি ৩৭ লাখ শেয়ার ৫০ কোটি ৭৮ লাখ টাকয় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের এক দশমিক ৯৪ শতাংশ। শেয়ারটির দর বেড়েছে তিন দশমিক ৮৫ শতাংশ। বিএসআরএম লিমিটেডের ৪৬ লাখ ১০ হাজার শেয়ার ৫০ কোটি ১৪ লাখ টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের এক দশমিক ৯২ শতাংশ। শেয়ারটির দর বেড়েছে পাঁচ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেডের ৪৪ লাখ ৫৫ হাজার শেয়ার ৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের এক দশমিক ৮৫ শতাংশ। গত সপ্তাহে শেয়ারটির দর বেড়েছে চার দশমিক ২৩ শতাংশ।