রুবাইয়াত রিক্তা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল এক বছর আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে। ডিএসইতে গতকাল লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ২৭৪ কোটি টাকা। এর আগে গত ১১ জুলাই ২০১৬ সালে লেনদেন হয়েছিল ২৭২ কোটি টাকা। গতকালের লেনদেন চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, শেষ মুহূর্তে ব্ল– চিপ হিসেবে খ্যাত কিছু কোম্পানি বিশেষ করে ব্যাংক খাতের কিছু কোম্পানি, স্কয়ার ফার্মা ও গ্রামীণফোনের শেয়ার কিনে সূচক জোর করে ইতিবাচক করা হয়েছে। শরিয়াহ্ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর কমেছে। পুঁজিবাজার নিয়ে নানা অনিশ্চয়তার কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরছে না কিছুতেই। যেমন পুঁজিবাজারে তারল্য সংকটের কোনো সুরাহা হচ্ছে না। এছাড়া কৌশলগত বিনিয়োগকারী নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘসূত্রতা ছাড়াও মার্কিন প্রতিনিধিদলের হঠাৎ ডিএসই পরিদর্শন প্রভৃতি কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের অনিশ্চয়তা কাজ করছে, যার কারণে তারা বিনিয়োগে সক্রিয় হচ্ছেন না।
গতকাল ডিএসইতে ৩৫ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে, কমেছে ৪৮ শতাংশের। সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয় ব্যাংক খাতে। এ খাতে লেনদেন হয় সাড়ে ৪২ কোটি টাকা। শেয়ারদর বেড়েছে ৫৩ শতাংশের। প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয় ১৬ শতাংশ বা ৪১ কোটি টাকা। এ খাতে মাত্র ৩০ শতাংশ শেয়ারদর ইতিবাচক ছিল। ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয় ১৫ শতাংশ। এ খাতের ৪৬ শতাংশ শেয়ারের দর ইতিবাচক ছিল। রেকিট বেনকিজার, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল ও সালভো কেমিক্যাল দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশে উঠে আসে। বস্ত্র খাতে লেনদেন হয় ১৩ শতাংশ। এ খাতে মাত্র ২৮ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। এছাড়া সিরামিক খাতে ৬০ শতাংশ ও আর্থিক খাতে ৪৮ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে। আর্থিক খাতের প্রিমিয়ার লিজিং দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশের দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল। লেনদেনের শীর্ষে থাকা আল আরাফাহ্ ব্যাংকের সাড়ে ১২ কোটি টাকা, মুন্নু সিরামিকের ১০ কোটি টাকা, স্কয়ার ফার্মার প্রায় ১০ কোটি টাকা এবং এসিআই ও গ্রামীণফোনের সাত কোটি টাকা করে লেনদেন হয়। সবচেয়ে বেশি দর বাড়া কোম্পানিগুলোর শীর্ষ দশটির মধ্যে পাঁচটি ছিল জেড ক্যাটেগরির। কোম্পানিগুলো হচ্ছেÑইমাম বাটন, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, খুলনা প্রিন্টিং ও প্যাকেজিং, সমতা লেদার ও মেঘনা পিইটি। এসব কোম্পানির দর তিন থেকে ছয় শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।