নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) স্বতন্ত্র পরিচালক পদে সাতজন করে ১৪ জনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গতকাল রোববার কমিশনের ৫৯৮তম সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়; যা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
অনুমোদন পাওয়া ডিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালকরা হলেনÑ আপিল বিভাগের বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মনোয়ারা হাকিম আলী, প্রফেসর ড. আবুল হাশেম, সাবেক সচিব ওয়ালিউল ইসলাম, বুয়েটের প্রফেসর এম কায়কোবাদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল মনসুর মো. আশরাফ খান এনডিসি, পিএসসি এবং ঢাবির মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান।
উল্লেখ্য, বর্তমান পর্ষদ থেকে রুহুল আমিন ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মুজিবুর রহমান বাদ পড়েছেন। তাদের পরিবর্তে এসেছেন ড. মো. মাসুদুর রহমান এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল মনসুর মো. আশরাফ খান।
এদিকে সিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালকরা হলেন: জাতিসংঘে বাংলাদেশের বিদায়ী স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একে আবদুল মোমেন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শামীম চৌধুরী এনডব্লিউসি, পিএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এফসিএমএ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আয়ুব ইসলাম, ব্যবসায়ী ড. মইনুল ইসলাম মাহমুদ, প্রফেসর এসএম সালামত উল্লাহ ভূইয়া ও প্রদীপ পাল এফসিএমএ, এফসিএ।
জানা গেছে, উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ ১৪ জন করে মোট ২৮ জনের নাম সুপারিশ করে। এর মধ্য থেকে বিএসইসি সাতজন করে ১৪ জনকে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে।
ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন অনুযায়ী, স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদের অধিকাংশ পরিচালক হবেন স্বতন্ত্র। পর্ষদে মোট সাতজন স্বতন্ত্র, চারজন স্টেকহোল্ডার, একজন কৌশলগত বিনিয়োগকারী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদাধিকার বলে পরিচালক মনোনীত হন।
উল্লেখ্য, ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন অনুযায়ী স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদে মোট ১৩ জন পরিচালক থাকবেন। এর মধ্যে সাতজন হবেন স্বতন্ত্র পরিচালক। এছাড়া বাকি ছয়জনের মধ্যে চারজন স্টেকহোল্ডারদের মধ্য থেকে, একজন কৌশলগত বিনিয়োগকারী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদাধিকার বলে পরিচালক মনোনীত হবেন। স্বতন্ত্র সাত পরিচালকদের মধ্য থেকে একজন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।
Add Comment