প্রতিনিধি, রাজশাহী: বিজ্ঞানীদের সামনে এখন নতুন জিনিস এসে দাঁড়িয়েছে সেটি হলো বাংলাদেশকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে নিয়ে যাওয়া বলে মন্তব্য করেছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রথমে বললে এতটা বুঝত না। প্রথম প্রথম মানুষ ঠাট্টা করত। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশকে এখন কেউ ঠাট্টা করে না। গতকাল মঙ্গলবার শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় নির্মিত নভোথিয়েটার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
ইয়াফেস ওসমান বলেন, আজ থেকে ১৫ বছর আগের এবং যে পরিবর্তন বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে প্রত্যেকাটি জিনিস বিজ্ঞানকে ধরে এগিয়েছে। মানুষের জীবনের যে উন্নয়ন সৌভাগ্যক্রমে এটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে শুরু হয়। শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ আর কল্পনা নয়, শেখ হাসিনার ভিশন-২১ নিছক কোনো গল্প না। সেই পর্যায়ে দেশ চলে গেছে।
তিনি বলেন, রাজশাহীকে শিক্ষানগর বলা হয়। যার জন্য রাজশাহীতে এই নভোথিয়েটার অত্যান্ত প্রয়োজন। সেই কারণে রাজশাহীতে জায়গাটি নির্ধারণ করেছি। এর পেছনে আপনাদের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন নিজেও ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করেছেন। সেই কারণে আমি মনে করি এটা আগে হওয়া দরকার ছিল।
জানা গেছে, ২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহীতে নভোথিয়েটার স্থাপনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখেন। মূলত এরপর থেকেই শুরু নভোথিয়েটারের স্বপ্নযাত্রা। প্রকল্পটি ২০১৫ সালের আগস্টে পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় অনুমোদন পায়। ওই বছরের ডিসেম্বরে যায় একনেকে। এরপর ২০১৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি একনেক সভায় পাস হয় এ প্রকল্প।
এ সময় জেলা প্রশাসক শামীম আহম্মেদ, নভোথিয়েটার ও গণপূর্ত বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রথমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন সময়কাল ধরা হয়েছিল ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত। একনেক সভায় সময়সীমা ৬ মাস বাড়িয়ে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়। ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি এটির নকশা দেখানো হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।