নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘সঞ্চয় ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি’ নামে প্রস্তাবিত একটি ডিজিটাল ব্যাংকে সাড়ে ১২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রস্তাবিত ‘সঞ্চয় ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি’ নামের ডিজিটাল ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন ২৫০ কোটি টাকা আর পরিশোধিত মূলধন হবে ১২৫ কোটি টাকা। এখানে ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড সাড়ে ১২ কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার হবে, যা প্রস্তাবিত ব্যাংকটির মোট পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশ। অর্থাৎ কোম্পানিটি এ ব্যাংকের ১০ টাকা মূল্যের মোট ১ কোটি ২৫ লাখ শেয়ারের মালিকানায় থাকবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন নেবে কোম্পানিটি।
২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ঢাকা ব্যাংকের পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৬ শতাংশ নগদ ও ৬ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৬ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৬৫ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১২ টাকা ১২ পয়সা (ঘাটতি)।
এর আগে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ২৫ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৮ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে পাঁচ টাকা ৩১ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ছয় শতাংশ নগদ ও ছয় শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ২২ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৬৯ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে পাঁচ টাকা ৯৩ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৬ কোটি ৬০ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ১৪৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ১০০ কোটি ৬৬ লাখ ২ হাজার ২৩৮টি শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪২ দশমিক ৬৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৪১ দশমিক ০১ শতাংশ শেয়ার।
