নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রস্তাবিত একটি ডিজিটাল ব্যাংকে সাড়ে ১২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন ২৫০ কোটি টাকা আর পরিশোধিত মূলধন হবে ১২৫ কোটি টাকা। এখানে কোম্পানিটি সাড়ে ১২ কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার হবে, যা প্রস্তাবিত ব্যাংকটির মোট পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশ। অর্থাৎ কোম্পানিটি এ ব্যাংকের ১০ টাকা মূল্যের মোট ১ কোটি ২৫ লাখ শেয়ারের মালিকানায় থাকবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন নেবে কোম্পানিটি।
উল্লেখ্য, দেশের প্রচলিত ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি আর্থিক সেবা দিতে ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় আগ্রহীদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি।
বিমা খাতের এ কোম্পানিটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। যার ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪১ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর কোম্পানির রিজার্ভে রয়েছে ৩৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৪ কোটি ১১ লাখ ৬৫ হাজার ২১৫টি শেয়ারের মধ্যে ২৭ দশমিক ১৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে আর ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ৬০ দশমিক ৫৪ শতাংশ ধারণ করছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৯ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৫৫ পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে ১৪ পয়সা। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩০ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ২৬ পয়সা। সে হিসেবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ইপিএস বেড়েছে ৪ পয়সা। এদিকে ৩০ জুন, ২০২৩ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৬০ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১২ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৫৩ পয়সা।
এদিকে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৭ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ১৯ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫৫ পয়সা। এর আগে এদিকে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ১১ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৫১ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৩১ পয়সা। আর ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ১৮ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৮৯ পয়সা।