নিজস্ব প্রতিবেদক:‘ওপেন ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি’ নামে প্রস্তাবিত একটি ডিজিটাল ব্যাংকে সাড়ে ১২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি হা ওয়েল টেক্সটাইলস (বিডি) পিএলসি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রস্তাবিত ‘?ওপেন ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি’ নামের ডিজিটাল ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন ২৫০ কোটি টাকা আর পরিশোধিত মূলধন হবে ১২৫ কোটি টাকা। এখানে হা ওয়েল টেক্সটাইল সাড়ে ১২ কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার হবে, যা প্রস্তাবিত ব্যাংকটির মোট পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশ। অর্থাৎ কোম্পানিটি এ ব্যাংকের ১০ টাকা মূল্যের মোট ১ কোটি ২৫ লাখ শেয়ারের মালিকানায় থাকবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন নেবে কোম্পানিটি।
উল্লেখ্য, দেশের প্রচলিত ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি আর্থিক সেবা দিতে ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় আগ্রহীদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি।
কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫৬ কোটি টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৩৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট পাঁচ কোটি ৬০ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৫০ দশমিক ৮৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭ দশমিক ৯১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী শূন্য দশমিক ০৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪১ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৫৪ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৩৪ পয়সা। আর এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৩৯ পয়সা। এর আগে ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা এক পয়সা এবং ২০২১ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়ায় ৩১ টাকা ৫৬ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছিল ৪ টাকা ৮০ পয়সা।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ৬৫ শতাংশ বা ৯০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৫৫ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। ওইদিন ১১ হাজার ৩৬৪টি শেয়ার মোট ৬৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৫৪ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫৫ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৪৫ টাকা থেকে ৬৬ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
২০২২-২৩ হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) হা ওয়েল টেক্সটাইল লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। ডিএসইতে প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩৬ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯৩ পয়সা। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় ৪৩ পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২২-মার্চ, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৩৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২ টাকা ৬৭ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম তিন প্রান্তিকের হিসাবে ইপিএস বেড়েছে এক টাকা ৭২ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ২৫ পয়সা।
