Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 2:50 am

ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপন এবং সাবসিডিয়ারি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করবে এসিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনে ১০ কোটি টাকা এবং একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানিতে ৭৭ লাখ টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি এসিআই লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদে ‘কোড়ি ডিজিটাল পিএলসি’ নামে একটি ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনে ১০ কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিধিমালা অন–সারে, ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের ন্যূনতম ১২৫ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন দেখাতে হবে। আর মূলধন আসতে হবে উদ্যোক্তাদের থেকে। এক্ষেত্রে প্রতি উদ্যোক্তাকে ন্যূনতম ৫০ লাখ টাকার শেয়ার মালিকানা নিতে হবে। আর সর্বোচ্চ ১২ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার মালিকানা নেয়া যাবে।

অন্যদিকে ‘এসিআই এভিওনিক্স অ্যান্ড এয়ারলাইনস সার্ভিসেস লিমিটেড’ নামের একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানিতে ৭৭ লাখ টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসিআই লিমিটেড। সাবসিডিয়ারি কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা আর পরিশোধিত মূলধন হবে এক কোটি টাকা। অর্থাৎ সাবসিডিয়ারি কোম্পানিটির ৭৭ শতাংশ শেয়ার ধারণ করবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এসিআই লিমিটেড।

উল্লেখ্য, এসিআই লিমিটেড ১৯৭৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৭৬ কোটি ২০ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৮৩১ কোটি ১৬ লাখ টাকা। কোম্পানির ৭ কোটি ৬২ লাখ ৫ হাজার ৬২৬টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩৬ দশমিক ০৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৪১ দশমিক ২২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ২২ দশমিক ৭১ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ৫০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ২৩ পয়সা এবং ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪১ টাকা ৯৮ পয়সা। এছাড়া আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে চার টাকা ২৪ পয়সা। এর আগে ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে ৬৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৫ টাকা ৫০ পয়সা এবং ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ১৬২ টাকা ৬৫ পয়সা।

এদিকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৪২ পয়সা। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ৯ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জুলাই, ২০২২-মার্চ, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪৫ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫ টাকা ৬৭ পয়সা। অর্থাৎ তিন প্রান্তিকের হিসাবে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ৭ টাকা ১২ পয়সা। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২৯ টাকা ৬৭ পয়সা। এছাড়া তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৭২ টাকা ২৫ পয়সা (ঘাটতি)। আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২০ টাকা ২৭ পয়সা (ঘাটতি)।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ২৬০ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৭৬৩ শেয়ার মোট ২৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২ লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ও সর্বোচ্চ ২৬০ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২৬০ টাকা ২০ পয়সা থেকে ২৯১ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।