বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ষষ্ঠ ডিজিটাল সামিট, ২০১৯’। মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের পরিবেশনায় এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন দেশের ডিজিটাল পেশাজীবীদের নানা ক্ষেত্রের ৫০০ অতিথি।
সম্মেলনের এ বছরের প্রতিপাদ্য ছিল
‘ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ফর পিপল’। এডিএ (অ্যানালিটিকস-ডিজিটাল-অ্যাডভারটাইজিং) ও দ্য ডেইলি স্টারের সহযোগিতায় রাজধানীর লা মেরিডিয়ান ঢাকায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সম্মেলন শেষে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ডের তৃতীয় আসর। ১৬টি বিভাগে এ বছরের শ্রেষ্ঠ ডিজিটাল ক্যাম্পেইনগুলোকে পুরস্কৃত করা হয়। এ সম্মেলনটি দেশের ডিজিটাল মার্কেটিং পেশাজীবীদের তথ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সর্বজনবিদিত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ডিজিটাল যুগে বসবাসকারীদের জন্য ডিজিটাল ধারণাই এখন মুখ্য ভূমিকা রাখছে। আধুনিক বিপণনকারীরা তাদের ব্র্যান্ড তৈরির সব কার্যকলাপের সঙ্গে ডিজিটালের সমন্বয় ঘটানোর সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে আমাদের অনুধাবন জরুরিভাবে যেন এ নতুন প্রক্রিয়ার সব ক্ষেত্রেই মানবসংযোগ ঘটে।
ডিজিটাল সামিটের এবারের আসরে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন তিন বক্তা। তারা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এছাড়া আলোচনায় ছিলেন দেশীয় বিশেষজ্ঞরা, যারা দেশের ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ রূপরেখার ওপর আলোকপাত করেন। একাধিক প্যানেল আলোচনা, ব্রেকআউট সেশন, ইনসাইট সেশন ও কেস স্টাডি প্রেজেন্টেশন সেশন সামিটের পুরো পরিবেশকে এক দিনের পাঠশালায় রূপ দেওয়া হয় সেদিন।
সম্মেলনে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এডিকের গ্লোবাল কনসালট্যান্ট ও কগনেশিয়া ট্যালেন্টের চিফ ক্রিয়েটিভ অফিসার ও এক্সিকিউটিভ অ্যাডভাইজার রব শেরলক, এডিএ’র মালয়েশিয়ার বিজনেস ইনসাইট হেড ভিত্তরিও ফুরলান ও উইঅ্যাডডু’র ম্যানাজিং পার্টনার প্রতীক বসু প্রমুখ।
প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন অ্যাডকমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাজিম ফারহান চৌধুরী, ব্র্যাক ও ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের কমিউনিকেশন ও আউটরিচ ডিরেক্টর মৌটুসি কবির, রেকিট বেঙ্কিজার বাংলাদেশ লিমিটেডের মার্কেটিং ডিরেক্টর নুসরাত জাহান, মার্কেটিং সোসাইটি অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আশরাফ বিন তাজ, দ্য ডেইলি স্টারের হেড অব মার্কেটিং তাজদিন হাসান, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের ফেব্রিক সল্যুশন ক্যাটেগরি হেড জিশান রহমান, প্রাইম ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমিউনিকেশন হেড নাজমুল করিম চৌধুরী, গ্রামীণফোনের ব্র্যান্ড ও ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ডেপুটি ডিরেকটর নাফিস আনোয়ার চৌধুরী, কোকা-কোলা বাংলাদেশের কান্ট্রি মার্কেটিং ম্যানেজার মোয়াসসের আহমেদ, ম্যাকমের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার রাবেথ খান, এয়ারটেলের ব্র্যান্ড অ্যান্ড ডিজিটালের জেনারেল ম্যানেজার তাহাসিনা রাফা প্রমুখ।
ইনসাইট সেশনগুলো পরিচালনা করেন এস্কিমি সাউথ এশিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর লুতফি চৌধুরী, এডিএ বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শিহাব আহমাদ ও চ্যাটলিডসের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ও ওয়েব্যাবল ডিজিটালের কো-ফাউন্ডার শাদাব
মাহবুব। কেস স্টাডি প্রেজেন্টেশন সেশনগুলো পরিচালনা করেন এশিয়াটিক মাইন্ডশেয়ার লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর তুসনুভা আহমেদ টিনা ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিজিটাল ডিরেক্টর কাজী হাসান ফেরদৌস, গ্রামীণফোন লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার ও হেড অব ডিজিটাল মার্কেটিং শাহরিয়ার মো. শাহাবুদ্দিন, গ্রে বাংলাদেশের সিনিয়র ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর এম আকরুম হোসেন ও এভিপি ও স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং লিড বিটপি দাস গুপ্ত, ডেলিগ্রামের ফাউন্ডার ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ওয়াইজ রহিম, ব্র্যাক-আড়ংয়ের মার্কেটিং ম্যানেজার সাঈদ রেদওয়ানুর রহমান ও অ্যানালাইজেনের ম্যান অব স্টিল রিসালাত সিদ্দিক। অ্যাপ্লাইড বিজনেস ইনিশিয়েটিভের ফাউন্ডার ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার তানভির ফারুক একটি ব্রেকআউট সেশন পরিচালনা করেন।
দিনব্যপী এ সম্মেলন শেষে সন্ধ্যায় তৃতীয় ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এবারের আসরে ১৬ ক্যাটেগরির অধীনে ৭৯টি ডিজিটাল ক্যাম্পেইনকে সম্মাননা দেওয়া হয়। এবার ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ডের জন্য ৫০০টির বেশি মনোনয়নপত্র জমা পরে। গ্রাঁপ্রি, গোল্ড, সিলভার ও ব্রোঞ্জÑএ চারটি র্যাংকের অধীনে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানটি আয়োজনে সহযোগী ছিল এস্কিমি, স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার বাংলাদেশ ক্রিয়েটিভ ফোরাম, নলেজ পার্টনার এমএসবি। অনুষ্ঠানটির ইভেন্ট পার্টনার ছিল লা মেরিডিয়েন ঢাকা, লাইফস্টাইল পার্টনার অ্যাডভান্সড ডেভেলপমেন্ট টেকনোলজিস ও টেকনোলজি পার্টনার ছিল আমরা। ডিজিটাল পার্টনার ছিল অ্যাডভান্সড বিজনেস ইনিশিয়েটিভস, ভিজ্যুয়াল পার্টনার আতোশ ও পিআর পার্টনার ছিল ব্যাকপেজ পিআর।
হ টেলকো-টেক ডেস্ক
মন্তব্য