শেয়ার বিজ ডেস্ক: ৭৫০ টন ডিজেল নিয়ে একটি জাহাজ তিউনিসিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে গ্যাবস উপসাগরে ডুবে গেছে। গিনি পতাকাবাহী জেলো নামের জাহাজটি মিসরের দেমিয়েতা বন্দর থেকে ইউরোপের মাল্টার দিকে যাচ্ছিল। খারাপ আবহাওয়ার কারণে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় জাহাজটির কর্তৃপক্ষ তিউনিশিয়ার জলসীমায় প্রবেশের অনুমতি চায়। খবর: দ্য গার্ডিয়ান।
স্থানীয় আদালতের মুখপাত্র মোহাম্মদ ক্যারি জানান, জাহাজটি গতকাল সকালে তিউনিসিয়ার জলসীমায় ডুবে যায়। তবে এখন পর্যন্ত লিকেজের (ছিদ্র হওয়া) খবর পাওয়া যায়নি। তবে যেকোনো মুহূর্তে ডিজেল সাগরে ছড়িয়ে পড়ায় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের চরম ঝুঁকি রয়েছে। সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাই এ দুর্ঘটনার পরপর দুর্যোগ প্রতিরোধ কমিটি পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে বৈঠকে বসেছে বলে জানান তিনি।
তিউনিসিয়া কর্তৃপক্ষ জানায়, জাহাজটি ঝুঁকিতে ছিল। দেশটির পরিবেশ-বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, বৈরী আবহাওয়ার কারণে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাণিজ্যিক জাহাজটি তিউনিসিয়ার জলসীমায় প্রবেশের অনুমতি চেয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে জাহাজটি ডুবে গেছে।
জাহাজ পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট ভেসেলট্র্যাকার ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, জাহাজটি ৫৮ মিটার (১৯০ ফুট) দীর্ঘ এবং চওড়ায় ৯ মিটার। এটি থেকে সাতজন ক্রুকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন জর্জিয়ার ক্যাপ্টেন এবং তুরস্কের চার ও আজারবাইজানের দুই নাবিক। প্রথমে তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের স্থানীয় হোটেলে পাঠানো হয়েছে।
তিউনিসিয়ার পরিবেশমন্ত্রী লেইলা ছিখাউ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য গ্যাবসে গিয়েছেন। আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানায় মন্ত্রণালয়। তবে যেকোনো পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকাতে তৎপর রয়েছে জাতীয় দুর্যোগ প্রতিরোধ কমিটি। তাদের সঙ্গে একত্রে কাজ করছে যোগাযোগ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
গ্যাবস উপসাগর মূলত মাছের বিচরণক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত। কিন্তু পরিবেশবাদীদের অভিযোগ, স্থানটি দূষিত হয়ে গেছে। বিশেষ করে গ্যাবস শহরের কলকারখানার দূষিত পদার্থ সব এসে মেশে এ উপসাগরে। এর আগে এখানে ২০১৮ সালের অক্টোবরে সাইপ্রাসের একটি জাহাজডুবির ঘটনা ঘটে।
গত বছর ইরাকে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় এক হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।