নিজস্ব প্রতিবেদক: গুলশান-১-এর ডিসিসি মার্কেটেই ব্যবসা চালিয়ে যেতে চান ব্যবসায়ীরা। মূল ভবনটি মেরামত করে আবার সেখানে ব্যবসা করার সুযোগ দিতে উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রতি দাবি জানান তারা।
গতকাল বুধবার দুপুরে ডিসিসি মার্কেটের প্রবেশপথে পৃথক দুই সমাবেশে পাকা ও কাঁচাবাজারের দুই সমিতির ব্যবসায়ীরা এ দাবি জানান।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের প্রায় ২০ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে অগ্নিকাণ্ডে ধসেপড়া কাঁচাবাজার অংশের ভবন ভাঙার কাজ শুরু হয়। ধসেপড়া এই ভবনে ৪০০টি দোকান ছিল।
দোকান মালিক ও শ্রমিকরা বলেছেন, মার্কেটের যে অংশটুকু ধসে পড়েছে, সেটি মূল ডিসিসি মার্কেট থেকে আলাদা। এটি একটি আলাদা ভবন। এ ভবনের নিচতলায় ছিল কাঁচাবাজার। দ্বিতীয় তলায় ছিল কসমেটিকস, মুদি ও মনোহারি দোকান। মূলত এসব দোকানে পারফিউম, বডি স্প্রে, সেন্ট, এয়ার ফ্রেশনার, হেয়ার স্প্রে, লোশনসহ বিভিন্ন ধরনের দাহ্য পদার্থ ছিল। সে কারণে ভবনের ক্ষতি বেশি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে গতকাল সমাবেশে পাকা মার্কেট দোকান সমিতির কোষাধ্যক্ষ আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের একটাই দাবি, আমরা এখানে ব্যবসা করতে চাই। যেহেতু তাদের ভবনটি ধসে পড়েনি, তাই তা মেরামত করে ব্যবসা করার সুযোগ দিতে হবে উত্তর সিটি করপোরেশনকে।’
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত কাঁচাবাজার দোকান সমিতির ব্যবসায়ীরা বলেন, যেহেতু সিটি কপোরেশনের মার্কেট এটি। তাই মেরামত করে মার্কেট চালুর দায়িত্ব তাদের। সমাবেশে ব্যবসায়ীরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ও ক্ষতিগ্রস্তদের দোকান বরাদ্দ দিয়ে এরপর নির্মাণকাজ শুরুর দাবি জানান। আগুন নেভানোর কাজে ফায়ার সার্ভিসের গাফিলতির অভিযোগ করে ব্যবসায়ীরা বলেন, ২২ থেকে ২৩টি ইউনিটের কথা বলা হলেও আসলেই এসেছিল কি না, সে বিষয়ে তদন্ত করতে হবে।
এদিকে গতকাল বুধবার দুপুর পর্যন্ত গুলশান-১ ডিসিসি মার্কেটের পুড়ে যাওয়া বিভিন্ন দোকান থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। বাতাস বাড়লে বেড়ে যায় ধোঁয়ার মাত্রাও। মার্কেটের অনেক দোকান থেকে মালামাল সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। যেখান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছিল, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পানি ছিটিয়েছেন।
দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর এমরান হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘পানি ছিটানোর কারণে পুড়ে যাওয়া মালামাল স্তূপ আকারে জমাট বেঁধে গেছে। তাই অনেক জায়গায় পানি ঢুকছে না। সেসব জায়গা থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।’