শাহরিয়ার সিফাত:টাঙ্গাইলে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ডিসি লেক। কিছুদিন আগেও যেখানে নোংরা, দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় ছিল, সেখানে এখন শিশুরা ট্রেনের চালক, সিন্দাবাদের জাহাজের নাবিক। আবার কেউ কেউ ঘোড়ায় চড়ে পাড়ি দিচ্ছে তেপান্তরের মাঠ। পরক্ষণেই নাগরদোলায় দোল খাচ্ছে। ডিসি লেকের এ মনোমুগ্ধকর পরিবেশ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে।
টাঙ্গাইলের সদ্য বিদায়ী জেলা প্রশাসক মাহবুব হোসেন নিজেই পরিকল্পনা করে শহরের সার্কিট হাউজের পাশে ডিস্ট্রিক্ট লেককে নতুন রূপ দেন। গড়ে তোলেন দৃষ্টিনন্দন পার্ক। ৩৩ দশমিক ৪৫ একর আয়তনের লেক খনন করে তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের মে মাসে। খনন শেষে লেকে ঘাট নির্মাণ ও লেকের মাঝখানে ভাসমান মঞ্চ নির্মাণ করা হয়। এজন্য ব্যয় হয় দুই কোটি ৯১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে ও ব্যক্তি উদ্যোগে আসা অর্থ দিয়ে লেকের পাড় বাঁধা, শিশু পার্কসহ সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করা হয়। বসানো হয় নানা প্রজাতির পশু-পাখির প্রতিকৃতি। গম্বুজ আকৃতির দ্বিতল ভাসমান মঞ্চটির চারপাশ সাজানো হয়েছে রঙিন সাজে। আর মঞ্চে যাওয়ার রাস্তার দুই পাশে লাগানো হয়েছে রঙিন বাতি। রাতের রঙিন আলোয় লেকের দৃশ্য দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে।
যেভাবে যাবেন
টাঙ্গাইল শহরের পুরোনো বা নতুন বাসস্ট্যান্ডে নেমে রিকশা বা অটোরিকশাযোগে যেতে পারেন ডিসি লেক। দেখতে পারেন জেলা শহরে রাজধানীর হাতিরঝিলের মতো দৃষ্টিনন্দন নিরিবিলি স্থান।
টাঙ্গাইল
Add Comment