প্রতিনিধি, জাবি: এবছর ডিসেম্বরের মধ্যেই ঢাকা থেকে কক্সবাজার সরাসরি ট্রেন চালু হবে। নাহলে আগামী জুনের মধ্যে অবশ্যই তা বাস্তবায়ন করা হবে। যমুনার উপরে ২টি ডেলিগেটেড রেলসেতু হচ্ছে, খুলনা থেকে মংলা পর্যন্ত রেললাইন জুন মাসের মধ্যেই উদ্বোধন করতে পারব। প্রতিবেশী দেশগুলো সাথে তাল মেলাতে ক্রমান্বয়ে দেশের সব রেললাইন ব্রডগেজে রুপান্তরিত করা হবে।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘এত উন্নয়ন, অগ্রগতি, দেশের মানুষ স্বস্তির মধ্যে আছে। বিএনপি-জামাত সরকার যোগাযোগব্যবস্থা বিশেষ করে রেলব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। ৯১-৯২ সালে ১০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রেল থেকে বের করে দিয়েছে। খুলনা থেকে বাগেরহাট, কাউনিয়া থেকে চিলমারী পর্যন্ত রেললাইন উঠিয়ে দিয়েছে। কিন্তু একটি ঘনবসতি পূর্ন দেশের জন্য ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগব্যবস্থা হিসেবে রেলপথের সম্প্রসারণ জরুরি ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করে রেলব্যবস্থাকে আরও এগিয়ে নিয়ে গেছেন। পদ্মা সেতুর মধ্য দিয়ে ভাঙা থেকে ঢাকা পর্যন্ত এ বছর ডিসেম্বরের মধ্য দিয়ে রেলসংযোগ দিতে পারব। কমলাপুর থেকে টঙ্গী-গাজীপুর পর্যন্ত এবং জয়দেবপুর থেকে জামালপুর পর্যন্ত ডাবল লাইন স্থাপনের কাজ চলছে। নারায়ণগঞ্জের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রেলযোগাযোগ স্থাপিত হলে ৯১ কিমি কমে আসবে। ভারতের সঙ্গে আমাদের ৫টি সীমান্তে যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। চীন থেকে শুরু হয়ে বার্মা হয়ে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
রুটিন উপাচার্য উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আলমের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মোঃ মনজুরুল হক, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, জন্মবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. অজিত কুমার মজুমদার, রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ প্রমুখ।