নিজস্ব প্রতিবেদক: রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আগামী ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির শুরুতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। গতকাল রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘সেক্ষেত্রে নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা করা হবে। তবে আমরা নির্বাচনটা সময়ের মধ্যেই করতে চাই। কোনোভাবে সময় শেষের দিকে করতে চাই না।’
এ সিটিতে ইভিএম ও সিসি ক্যামেরার ব্যবহার করা হবে কি নাÑজানতে চাইলে আলমগীর বলেন, ‘সেটা কমিশনের সভায় সিদ্ধান্ত হবে, এখনই বলা যাবে না। তবে এগুলো ব্যবহারে কমিশনের একটা প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রয়েছে। ইসির অবস্থান হচ্ছে যত সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে, সেখানে ইভিএম ও সিসি ক্যামেরা দেয়ার চেষ্টা করবে। তবে প্রতিটা নির্বাচনের জন্য আলাদা আলাদা সভায় এই সিদ্ধান্তগুলো নেয়া হয়।’
স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, কোনো সিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট করতে হয়। সে অনুযায়ী রংপুর সিটি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয়েছে গত ১৯ আগস্ট থেকে।
২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর সর্বশেষ এ সিটিতে নির্বাচন হয়। প্রথম সভা হয় ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি।
এদিকে গাইবান্ধা উপ-নির্বাচনের অনিয়মের ঘটনায় ইসির তদন্ত কমিটি গত বৃহস্পতিবার ইসি সচিবের কাছে প্রতিবেদন দিয়েছে। প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনার পর ভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, ‘রিপোর্ট পাওয়ার পরে আমরা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। রিপোর্ট এখনও আমাদের হাতে আসেনি। হাতে এলে আমরা বসব। আলোচনা করব তারপর সিদ্ধান্ত।’
গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে সিসি ক্যামেরায় অনিয়ম দেখে মাঝপথে ভোট বন্ধের ঘোষণা করেন ইসি। কমিটি প্রতিবেদন জমা দিলেও এখনও কিছু জানেন না বলে জানান আলমগীর। তিনি বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার রিপোর্ট জমা দিলেও এখনও সেটা নিয়ে বসা হয়নি। তাই গাইবান্ধার ভোট নিয়ে পরে কী হবে, এখনই মন্তব্য করছি না।’
