Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 5:15 am

ডিসেম্বরে উদ্বোধন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম অংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের (উড়াল সেতু) প্রথম অংশ রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে মগবাজার পর্যন্ত খুলে দেয়া হবে ডিসেম্বরে। গতকাল রাজধানীর কাওলায় উড়াল সেতু পরিদর্শনকালে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটি বাংলাদেশ-এর (পিপিপি) সচিব ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ ইব্রাহিম সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, আমরা পরিদর্শনে এসেছি এখানকার সার্বিক কাজ দেখার জন্য। পাশাপাশি যারা প্রোজেক্টে কাজ করছেন তাদের কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে কি না, তা জানার জন্য, যাতে কাজ আরও দ্রুত গতিতে এগিয়ে যায়। খুশির খবর হচ্ছে, ডিসেম্বরেই রাজধানীর এয়ারপোর্ট থেকে মগবাজার পর্যন্ত উড়াল সেতুটি উদ্বোধন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, দ্রুত সময়ে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পুরোপুরি চালু করতে আমরা দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছি। করোনার প্রভাবে কাজের অগ্রগতি কমে যায়। এখন পুরোদমে কাজ চলছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যেই আমরা পুরোপুরি চালু করতে সক্ষম হব।

তথ্যমতে, ২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর রুট জটিলতা ও অর্থায়ন নিশ্চিত না হওয়ায় প্রকল্পের কাজ আর শুরু হয়নি। পরে ২০১৩ সালে এক্সপ্রেসওয়ের রুট সংশোধন করা হয়। এর ভিত্তিতে সংশোধন করা হয় এক্সপ্রেসওয়ের নকশা। পরে প্রকল্পটি সংশোধন করা হয়। তখন মূল এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় আট হাজার ৭০৩ কোটি ১১ লাখ টাকা। এর মধ্যে পিপিপিতে বিনিয়োগ করা হবে ছয় হাজার ৪৪৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। আর ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ড হিসেবে সরকার দেবে দুই হাজার ২৫৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

এর আগে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি ইটালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির (বিনিয়োগকারী) সঙ্গে চুক্তি করে সরকার। আর সংশোধনের পর ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর আবার চুক্তি সই করা হয়।

এদিকে প্রাথমিকভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ১৩০ একর জমি অধিগ্রহণের প্রাক্কলন করা হয়েছিল। সংশোধিত অ্যালাইনমেন্টে তা কমে দাঁড়ায় ২৬ একরে। তবে নতুন হিসাবে সরকারি জমি লাগবে ১৯৪ একর। কারণ এক্সপ্রেসওয়ের বেশিরভাগ অংশই রেললাইনের ওপর দিয়ে যাবে।

তিন ধাপে এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে নির্মাণ করা হচ্ছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বনানী রেলস্টেশন পর্যন্ত ৭ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার, দ্বিতীয় ধাপে বনানী থেকে মগবাজার পর্যন্ত ৫ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার ও তৃতীয় ধাপে মগবাজার থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত ৬ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার।