নিজস্ব প্রতিবেদক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের জানান, ডি-৮ পিটিএ (প্রিফারেন্সিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট) চূড়ান্তকরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃবাণিজ্য ১০ গুণ বাড়বে বলে প্রত্যাশা করেছেন তিনি। গতকাল ডি-৮ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন শেষে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের জানান, ডি-৮ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আন্তঃবাণিজ্য প্রসারের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। প্রতিষ্ঠাকালে ডি-৮-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আন্তঃবাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৪ বিলিয়ন ডলার, যা বর্তমানে ১২৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। আমি আশা করছি, সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃবাণিজ্য ১০ গুণ বাড়বে।
ড. মোমেন আরও জানান, এরই মধ্যে মিসর ব্যতীত অন্যান্য সাতটি সদস্য রাষ্ট্র ডি-৮ পিটিএ অনুসমর্থন করেছে। এবারের সভায় মিসর জানিয়েছে, তারা শিগগিরই ডি-৮ পিটিএ অনুসমর্থন করবে। এছাড়া ডি-৮ পিটিএ দ্রুত কার্যকর করার লক্ষ্যে ড্রাফট ট্রেড ফ্যাসিলেশন স্ট্র্যাটেজির চূড়ান্তকরণ প্রক্রিয়া চলছে। এবারের সভায় এ বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়। এই ড্রাফট ট্রেড ফ্যাসিলেশন স্ট্র্যাটেজি শিগগিরই বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য থার্ড ট্রেড মিনিস্টার্স মিটিংয়ে গৃহীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান করেছিলেন। বাংলাদেশ ১৯৯৯ সালে ঢাকায় দ্বিতীয় ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনটি সফলভাবে আয়োজন করেছিল। প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে সংগঠনটির সভাপতিত্ব গ্রহণ করেন।
