নিজস্ব প্রতিবেদক: দিন দিন ডেঙ্গু পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে। ঢাকার বাইরেই এখন ডেঙ্গু রোগীর দাপট বেশি। দীর্ঘ হচ্ছে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর মিছিল। এক দিনে আরও ১০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। গত ১৫ দিনে মৃত্যু হয়েছে ১৭৫ জনের। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২৬ জনে। দেশে এরই মধ্যে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুতে পুরোনো রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৯৮৪ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ৮৯ হাজার ৮৭৫ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানীতে ৪৪ হাজার ৩৯৬ জন এবং রাজধানীর বাইরে ৪৫ হাজার ৪৭৯ জন ভর্তি হয়েছেন।
মৃত ৪২৬ জনের মধ্যে রয়েছেন ২৪৩ নারী ও ১৮৩ পুরুষ। মোট মৃতের মধ্যে রাজধানীর বাইরে মারা গেছেন ১০৩ জন এবং রাজধানীতে ৩২৩ জন। গতকাল মঙ্গলবার সারাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক হাজার ৯৮৪ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৭৩১ জন এবং ঢাকার বাইরে রয়েছেন এক হাজার ২৫৩ জন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন এক হাজার ৯৮৪ জনসহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ১১৭ জনে। ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪ হাজার ৬৩ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫ হাজার ১০৭ জন। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ৮৯ হাজার ৮৭৫ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তি রোগীর মধ্যে রয়েছেন ৫৬ হাজার ৩০২ পুরুষ ও ৩৩ হাজার ৫৭৩ নারী। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮০ হাজার ৩৩২ জন।
অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬৬ জন এবং মারা গেছেন ছয়জন, ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন, মার্চে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১১ জন এবং এপ্রিলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৩ জন, মারা গেছেন দুজন। মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৩৬ জন এবং মারা গেছেন দুজন। জুন মাসে ভর্তি হয়েছেন পাঁচ হাজার ৯৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন। জুলাইতে শনাক্ত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন এবং মারা গেছেন ২০৪ জন। আগস্টের ১৫ দিনে ৩৮ হাজার ৪৩ জন শনাক্ত হয়েছেন এবং প্রাণহানি হয়েছে ১৭৫ জনের। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আরও বেশি হবে। কারণ অনেক ডেঙ্গু রোগী বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন, তাদের হিসাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খাতায় নেই।