Print Date & Time : 25 June 2025 Wednesday 3:44 pm

ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ২০৮

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২০৮ জন এবং মারা গেছেন তিনজন। এ নিয়ে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি মোট ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা ৮০৬ এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে গত শনিবার ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়েছিল। ওইদিন হাসপাতালে ভর্তি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ২৪৫। এছাড়া গতকাল রোববার এডিস মশাবাহিত এ ভাইরাসটিতে কারও মৃত্যু না হলেও নতুন আক্রান্ত রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছিলেন ২১৩ জন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার একই সময়ের মধ্যে সারাদেশে নতুন করে আরও ২০৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ১৫৭ জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঢাকার বাইরে চিকিৎসাধীন আছেন ৫১ জন।

বর্তমানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৮০৬ জন ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৪৭টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৬৭৪ জন। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৩২ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছরে ১ জানুয়ারি থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট সাত হাজার ১১৩ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ছয় হাজার ২৮১ জন।

এ সময় ঢাকায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন পাঁচ হাজার ৮২৪ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন পাঁচ হাজার ১৩৯ জন। ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ২৮৯ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক হাজার ১৪২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এ নিয়ে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৬ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ডেঙ্গুতে বছরের প্রথম মৃত্যুর খবর আসে গত ২১ জুন।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জন মারা গিয়েছিলেন।