নিজস্ব প্রতিবেদক : ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে ডেঙ্গুতে এ বছরে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫৫৪ জনে। ডেঙ্গুতে নভেম্বর মাসের ২০ দিনে মারা গেছেন ২০৬ জন। এক দিনে আরও এক হাজার ১৯৭ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়েছেন। দেশে এরই মধ্যে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু ও শনাক্ত হওয়ার সংখ্যা পুরোনো সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীর চেয়ে দ্বিগুণের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে গ্রামে। মৃত্যুও বেশি গ্রামে। চলতি বছরের এ পর্যন্ত তিন লাখ দুই হাজার ৪৫২ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানীতে এক লাখ পাঁচ হাজার ৮২১ জন এবং ঢাকার বাইরে রয়েছেন এক লাখ ৯৬ হাজার ৬৩১ জন। মৃত এক হাজার ৫৫৪ জনের মধ্যে নারী ৮৮৮ জন এবং পুরুষ ৬৬৬ জন।
মোট মৃত্যুর ক্ষেত্রে রাজধানীর বাইরে মারা গেছেন ৬৫০ জন এবং রাজধানীতে ৯০৪ জন। সারাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক হাজার ১৯৭ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ২৮৬ জন এবং ঢাকার বাইরে ৯১১ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৬৫৩ জনে। ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন এক হাজার ১৯৩ জন এবং ঢাকার বাইরে তিন হাজার ৪৬০ জন। চলতি বছরের এ পর্যন্ত তিন লাখ দুই হাজার ৪৫২ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তি রোগীর মধ্যে রয়েছেন এক লাখ ৮১ হাজার ২১৫ পুরুষ এবং এক লাখ ২১ হাজার ২৩৮ নারী। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন দুই লাখ ৯৬ হাজার ২৪৫ জন।
অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬৬ জন এবং মারা গেছেন ছয়জন, ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৬ জন এবং মারা গেছেন তিনজন, মার্চে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১১ জন, এপ্রিলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৩ জন এবং মারা গেছেন দুজন। মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৩৬ জন এবং মারা গেছেন দুজন। জুন মাসে ভর্তি হয়েছেন পাঁচ হাজার ৯৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন। জুলাইতে শনাক্ত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন এবং মারা গেছেন ২০৪ জন। আগস্টে ৭১ হাজার ৯৭৬ জন শনাক্ত হয়েছেন এবং প্রাণহানি হয়েছে ৩৪২ জনের। সেপ্টেম্বরে রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৭৯ হাজার ৫৯৮ জন এবং মারা গেছেন ৩৯৬ জন। অক্টোবরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬৭ হাজার ৭৬৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৫৯ জন। নভেম্বরের ২০ দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩১ হাজার ২৭৭ জন এবং মারা গেছেন ২০৬ জন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হবে। বর্তমান রোগীর চেয়ে আরও ১০ গুণ বেশি হবে। কারণ অনেক ডেঙ্গু রোগী বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন, তাদের তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খাতায় নেই।
