Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 12:23 pm

ডেঙ্গুতে ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে

 

শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিশ্বে চলতি বছর ৪০ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দ্য ইকোনমিস্ট।

বিশ্বে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুয়ায়ী, ২০০০ সালে প্রায় ২০ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে মারা যায়। সেই থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে ৩০ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) মনে করে, সারা বিশ্বে প্রতি বছর ১০ কোটি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়।

উল্লেখ্য, স্ত্রী এডিস মশা যদি ফ্ল্যাভিভাইরাস প্যাথোজেন বহন করে এবং এ অবস্থায় যদি কাউকে কামড় দেয়, তাহলে ভুক্তভোগী মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লক্ষণ ছাড়া সংক্রমণ দূর হলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু ক্ষেত্রে ব্রেকবোন ফিভার দেখা যায়, যা গুরুতরভাবে জয়েন্টে ব্যথা, রক্তক্ষরণ, এমনকি মাঝেমধ্যে মৃত্যুও ঘটায়। ডেঙ্গুর আফটার-ইফেক্টও যন্ত্রণাদায়ক।

সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত অঞ্চল হলো ল্যাটিন আমেরিকা। ২০০০ থেকে ২০০৫ সালে সেখানে বছরে গড়ে পাঁচ লাখ মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। ২০২৩ সালে অঞ্চলটিতে ৪৬ লাখ মানুষ আক্রান্ত হন। ২০২৪ সালে এরই মধ্যে সেখানে প্রায় ৬০ লাখ কেস শনাক্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত মানুষের বসবাস ব্রাজিলে।

একদিকে যেমন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, তেমনি অঞ্চল ছাপিয়ে তা ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের সবখানে। এডিস মশা তাপমাত্রার ছোট পরিবর্তনের জন্য সংবেদনশীল এবং বিশ্ব উষ্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের পরিসর প্রসারিত হচ্ছে। অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়া ছড়ায়, যা এখন সারা বিশ্বেই পাওয়া যায়। কিন্তু এডিস এখনও সব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েনি। কিন্তু জলবায়ুর বর্তমান প্রবণতা অনুযায়ী, এডিস মশা দক্ষিণ ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে আরও ২০০ কোটি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

নগরায়ণ এডিস মশার বংশবিস্তার বৃদ্ধির জন্য দায়ী। একটি ডেঙ্গু মশা তার দুই সপ্তাহের জীবনে একাধিক ব্যক্তিকে কামড়াতে পারে। কিছু স্থানে এই রোগ আগে ছিল না, কিন্তু এখন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ক্যালিফোর্নিয়া, দক্ষিণ ইউরোপ ও আফ্রিকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।