নিজস্ব প্রতিবেদক: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ কথা জানান মেয়র। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক সভায় সভাপতিত্ব করেন।
মেয়র বলেন, ‘কলকাতায় ডেঙ্গু নিয়ে যিনি কাজ করেছেন তার নাম অনীক ঘোষ। আমি ওনাকে ফোন করেছিলাম। উনি বলেছিলেন, তাড়াতাড়ি আমাকে ইনভাইটেশন পাঠান। আমি ইনভাইটেশন পাঠিয়েছি। আগামী রোববার তিনি বাংলাদেশে আসবেন কথা দিয়েছেন। আমি তাকে বলেছি, তোমাদের যা যা অভিজ্ঞতা আছে তা আমাদের সঙ্গে শেয়ার কর।’
ডেঙ্গু বিষয়ে জাতীয়ভাবে একটি গবেষণা কেন্দ্র তৈরি করা দরকার বলে মনে করেন মেয়র আতিকুল। তিনি বলেন, ‘আমার সততার কমতি নেই, কিন্তু অভিজ্ঞতার কমতি আছে। ডেঙ্গু রোগের জন্য অবশ্যই আমি মনে করি ৩৬৫ দিনই গবেষণা করতে হবে। এটা সিজনি (মৌসুমনির্ভর) না, এটা যে কোনো সময় আসতে পারে। এটি নিয়ে জাতীয়ভাবে একটি গবেষণা কেন্দ্র তৈরি করা দরকার।’
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘ওষুধ নিয়ে কিছু কথা এসেছে। সিটি করপোরেশনে যে চালানটি এসেছিল পরীক্ষার পরে আমরা দেখেছি, ওষুধগুলো কার্যকর নয়। এরপর ওষুধের ওই কোম্পানিকে আমরা কালো তালিকাভুক্ত করেছি। ওই ওষুধের চালানটিও বাতিল করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গত সোমবার সরকারের একটি উচ্চপর্যায়ের মিটিং হয়। মিটিংয়ে দেখা যায়, ওষুধ আমদানির ক্ষেত্রে কিছু কিছু জটিলতা ছিল। যেমন সারাবিশ্বে অনেক উন্নত ওষুধ আবিষ্কার হয়েছে। কিন্তু ২০১৫ সাল থেকে সেগুলো আমদানি বন্ধ ছিল। তবে যত ধরনের সমস্যা ছিল সেগুলো মিটিংয়ে সমাধান হয়ে গেছে। এখন রেজিস্ট্রেশন করা যে কেউ সে ওষুধ আনতে পারবে।’
মশা নির্মূলে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের ওপর গুরুত্বারোপ করে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। শুধু মশা মারলে হবে না, পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এটি একটি টেকনিক্যাল ব্যাপার। আমাদের এখন তিনটি কাজ আছে। এগুলো হলো স্বল্প সময়ের কাজ, মধ্যম সময়ের কাজ এবং দীর্ঘ সময়ের কাজ।’
হাসপাতালগুলোকে ডেঙ্গু নিয়ে কোনো বাণিজ্য না করার অনুরোধ জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে যে মূল্যতালিকা দেওয়া হয়েছে সে অনুযায়ী আপনারা ফি নেবেন। সব রোগীকে আপনারা মশারির ভেতরে রাখবেন। ইতোমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ১৪ হাজার মশারি আমি বিভিন্ন হাসপাতালে দিয়েছি। আমাদের কাছে এখনও ১৬ হাজার মশারি রয়েছে। সেগুলোও বিতরণ করা হবে।’
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে কোনো বাণিজ্য করবেন না। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে যে মূল্যতালিকা দেওয়া হয়েছে, সে অনুযায়ী ফি নেবেন। সব রোগীকে মশারির ভেতর রাখবেন। যে এলাকায় ডেঙ্গু হয়েছে অথবা ডেঙ্গু রোগী থাকেন, খবর দিলে আমরা সেখানে স্প্রে করে দেব।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে আসছেন বিশেষজ্ঞ: মেয়র আতিকুল
