Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 11:05 am

ডেঙ্গু রোগীর তালিকা ধরে অভিযান চালাবে ডিএসসিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডেঙ্গু রোগীর তালিকা অনুযায়ী বাড়ির আঙিনা ও সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ চিরুনি অভিযান চালাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং মশক নিয়ন্ত্রণে কার্যক্রম পরিচালনা ও তদারকির লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে সংস্থাটি। গতকাল রোববার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ডেঙ্গু রোগীর তালিকা সরবরাহ করা হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করার নির্দেশনা দেন মেয়র। সেইসঙ্গে ডেঙ্গু রোগীর বাড়ির ছাদ থেকে আঙিনা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিশেষভাবে লার্ভিসাইডিং ও এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রম চালাতে বলেন তিনি।

নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে সরাসরি নির্দেশিত এসব কার্যক্রম মনিটরিং করবেন মেয়র। তিনি বলেন, ‘আজ থেকে আমরা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করলাম। এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আমরা সরাসরি তদারকি করব।’

প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে মশক সুপারভাইজার ও মশক কর্মীরা নিয়োজিত আছেন বলে জানান ডিএসসি মেয়র। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটি রোগীর ঠিকানা চিহ্নিত করে সেই বাসাবাড়ি এবং স্থাপনার ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত কোথাও যদি পানির উৎস, এডিস মশার উৎস থাকে, সেটা নির্মূল করা। সেই এলাকা সকালে লার্ভিসাইডিং করা এবং বিকালে আবার সেই এলাকাটা যথাযথভাবে ফগিং (এডাল্টিসাইডিং) করে আমরা সম্পূর্ণভাবে মশক বিস্তার নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণ করার কার্যক্রম নিয়েছি।’

‘আগামী দুই মাস এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে’ বলে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ‘আমরা আশাবাদী তাতে ডেঙ্গু প্রতিরোধ এবং এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হবো। আমাদের সব কাউন্সিলর এরই মাঝে নেমে (কাজে) গেছে। সকাল থেকেই আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। আজ আমরা ১৩টি ঠিকানায় বিভিন্ন ওয়ার্ডে ১৩ রোগীকে শনাক্ত করতে পেরেছি। এছাড়া আমাদের নিয়মিত কার্যক্রমÑসেটাও আমরা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকেই সরাসরি তদারকি করব।’

মশক সুপারভাইজার, কাউন্সিলর এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা এখন সরাসরি তথ্য দিচ্ছেন বলে জানান মেয়র। তিনি বলেন, ‘এছাড়া ম্যাজিস্ট্রেটরা বিভিন্ন নির্মাণাধীন বাসা, সরকারি আবাসনসহ যেসব জায়গায় আমরা ব্যত্যয় পাচ্ছি, সেসব জায়গায় আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। জরিমানা করছি এবং সচেতন করার চেষ্টা করছি।’

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী ফরিদ আহম্মদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।