নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর বাড়িসহ আশপাশের এলাকায় সচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করার জন্য কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানস্থ নগর ভবনের হলরুমে দ্বিতীয় পরিষদের ২৭তম করপোরেশন সভার আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
মেয়র কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে বলেন, ডেঙ্গু রোগীর তালিকা অনুযায়ী তাদের ঠিকানা সংগ্রহ করে রোগীর বাড়িসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপকভাবে সচেতনতা কার্যক্রম চালাতে হবে। নিজ নিজ ওয়ার্ডের ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নিতে হবে এবং আশপাশের মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
তিনি বলেন, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, রাজনীতিবিদ, ইমাম, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সবাইকে নিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কে মতবিনিময় সভা এবং সচেতনতামূলক র্যালি করার ওপরও জোর গুরুত্ব দেন। এ লক্ষ্যে প্রত্যেক কাউন্সিলরকে ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হচ্ছে। মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ওষুধ প্রয়োগ করা ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করার পাশাপাশি জনগণের সচেতনতা জরুরি। জনগণের মাঝে বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে এবং এডিসের লার্ভা যেন জš§াতে না পারে সেজন্য নিজেদের ঘর-বাড়ি, অফিস পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ছাদে, বারান্দায়, পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা, মাটির পাত্র, খাবারের প্যাকেট, অব্যবহƒত কমোডÑএগুলোতে পানি জমতে দেয়া যাবে না।
এ সময় মেয়র কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘খাল উদ্ধারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। যার যার এলাকায় খাল দখল রয়েছে এবং দখলদার কারা আমাকে তা জানাতে হবে। আপনারা তথ্য দেবেন সেই অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করে খাল দখলমুক্ত করা হবে। খাল দখলদারদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না।’
তিনি গতবারের মতো এ বছরও ডিএনসিসি এলাকার কোরবানির পশুর হাটে ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা থাকবে বলে ঘোষণা দেন।
সভায় ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, ডিএনসিসির সব বিভাগীয় প্রধান ও ডিএনসিসির কাউন্সিলর এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।